এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

রসমলাই বানানো শিখে নিন



রসমলাই বানানো শিখে নিন এখানে

আমরা প্রায় সবাই রসমালাই খেতে ভালবাসি। কিন্তু বানাতে কজন পারি?
এক্ষুণিতো ভুলে যাবেন। তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন।
পকরণ:ডিম- ১টি,বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ,গুড়ো দুধ- ১ কাপ,ময়দা - ১ চা চামচ,তরল দুধ - ১ লিটার,চিনি - স্বাদমত , গুড়ো করা - ১ টি এলাচ,ভ্যানিলা এসেন্স - ১/২ চা চামচ (গোলাপজলও দিতে পারেন),পেস্তা বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালী: তলা ভারী এমন বড় একটি পাত্রে চিনি আর তরল দুধ মিশিয়ে ফুটাতে দিন, এলাচদানা গুড়োও দিয়ে দিন। আঁচ খুব কম রাখুন।এবার আরেকটি পাত্রে গুড়ো দুধ, ময়দা, বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন, ডিমটি ফেটিয়ে এই মিশ্রনে মেশান। ভ্যানিলা অথবা গোলাপজল দিয়ে দিন। সব একসাথে সুন্দর করে মেশান, খুব বেশি মাখবেন না সব মিশে গেলেই হলো। প্রথমে মিশ্রনটি হাতের সাথে আটকে আটকে যাবে আঠালো হয়ে কিনতু ৩/৪ মিনিট রেখে দিলেই দেখবেন সুন্দর টাইট হয়ে গেছে , হাতের সাথে আর আটকাচ্ছে না। এখান থেকে এবার ছোট ছোট বল বানান। বেশি বড় বানাবেন না, মার্বেলের মতো বড় বানালেই দেখবেন দুধে দেবার পর বলগুলো ফুলে দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে তাই ছোট বল বানান।এতোক্ষনে উনানে দুধ ফুটে গিয়েছে, এই বল গুলো সাবধানে ফুটন্ত দুধের মাঝে ছেড়ে দিন। চামচ বা কিছু দিয়ে নাড়বেন না, ফুটতে দিন আরো কয়েক মিনিট। দেখবেন বলগুলো ফুলে উঠেছে। আঁচ আরো কমিয়ে দিন এখন, সর্বনিন্ম আঁচে রাখুন।
দশ মিনিট এভাবে কম আঁচে রান্না করুন, মাঝে মাঝে পাত্রটি সাবধানে ধরে ঝাঁকিয়ে দিন, যাতে তলায় ধরে না যায়।দশ মিনিট পরে একটি মিষ্টি তুলে দেখুন ভিতরে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। বেশি কাঁচা থাকলে কম আঁচে আরো কিছুক্ষন রান্না করুন, যদি সামান্য একটু কাঁচাভাব থাকে তাহলে আগুন নিভিয়ে পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, ভেতরের তাপেই আরো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে। মালাই আরেকটু ঘন করতে চাইলে আরো কিছুক্ষন কম আঁচে আগুনে রাখতে পারেন, শুধু মাঝে মাঝে পাত্রটি একটু ঝাকিয়ে দিন যাতে তলায় ধরে না যায়। ঠান্ডা করে রসমালাই পরিবেশন করুন, পরিবেশনের আগে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন মিষ্টির ওপরে।
এক্ষুণিতো ভুলে যাবেন। তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!

বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!

২০১৫ আগস্ট ২৭ ১৯:০৫:০৬
বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!
সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।
১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

গল্পে গল্পে নামতা শিখি

গল্পে গল্পে নামতা শিখি

***************************
ক্লাস থ্রী'র ছেলেদের তাদের গণিতের বদরাগী ম্যাম 9 এর নামতা লিখতে বলল। কিন্তু এক ফাঁকিবাজ ছেলে নামতা শিখে আসে নি। কিন্তু ম্যামের করা শাস্তির ভয়ে লিখতে শুরু করল...
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
-
তারপর বসে রইল কেননা সে এরপর আর পারে না। এরমাঝে ম্যামের হামকি-ধামকি আর না পারার শাস্তির বারংবার উল্লেখ। তাই সে এরপর লিখতে শুরু করল...
9 × 1 =
9 × 2 =
9 × 3 =
9 × 4 =
9 × 5 =
9 × 6 =
9 × 7 =
9 × 8 =
9 × 9 =
9 × 10 =
-
তারপর আবারো ভয়ে ভয়ে বসে রইল। কি করবে তা ই ভাবছে। হঠাৎ 9 × 1 = 9 আর 9 × 10 = 90 মনে পড়ল। তা লিখে ফেলল...
9 × 1 = 9
9 × 2 =
9 × 3 =
9 × 4 =
9 × 5 =
9 × 6 =
9 × 7 =
9 × 8 =
9 × 9 =
9 × 10 = 90
-
কিন্তু এর পর তো কিছুই মনে পড়ছে না; আর ওর তো আর কিছুই করার নেই। কারণ ছেলেটা নামতাটা কখনোই শিখে নি। কিন্তু ম্যামের ধাবড়ানী বেড়েই যাচ্ছে। ম্যাম চেক করে দেখতে লাগল কে কে লিখছে না। ভয় পেয়ে সে এর পর খালি জায়গা গুলোতে 1, 2, 3, 4... লিখতে থাকল...
9 × 1 = 9
9 × 2 = 1
9 × 3 = 2
9 × 4 = 3
9 × 5 = 4
9 × 6 = 5
9 × 7 = 6
9 × 8 = 7
9 × 9 = 8
9 × 10 = 90
-
হঠাৎ করে বদরাগী ম্যামটা খাতা তুলতে শুরু করল আর বলতে লাগল যে যারা নামতা ভুল করবে তাদের আজ কঠিন শাস্তি! ভয়ে ছেলেটার কলিজা শুকিয়ে যাবার অবস্থা... তাই ঝটপট নিচ থেকে লিখতে থাকল... 1, 2, 3, 4...
9 × 1 = 9
9 × 2 = 18
9 × 3 = 27
9 × 4 = 36
9 × 5 = 45
9 × 6 = 54
9 × 7 = 63
9 × 8 = 72
9 × 9 = 81
9 × 10 = 90
-
লেখাটা শেষ হতে না হতেই বদরাগী ম্যামটা খাতা নিয়ে গেল। খাতা দেখে ম্যামটা বাচ্চা ছেলেটাকে গম্ভীরভাবে ডাকল। ছেলেটার তো ভয়ে অজ্ঞান হবার অবস্থা। সে কাঁপতে কাঁপতে গেল। তাকে ম্যাম Excellent বলে আদর করে দিল।
-
তবে ছেলেটা কিন্তু বুঝতেই পারল না কি করে সে এত কঠিন একটা নামতা লিখে ফেলল!


বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

স্তন ক্যান্সার

স্তন ক্যান্সার

স্তন ক্যান্সার কি ?
ক্যানসার এমন এক রোগ, যার অন্তর্নিহিত কথা হলো, এ রোগে দেহের কোষগুলো বাড়তে থাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কোষগুলো সব অরাজকতা সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠে, যেন সবাই রাজা নিজের রাজত্বে। আর স্তনে যখন এমন কর্ম চলে, মানে ক্যানসারের সূচনা ঘটে, তখন একে আমরা বলি স্তন ক্যানসার। স্তনেরও রয়েছে তিনটি অংশ, গ্রন্থি, নালি ও সংযোজক কলা। কখনো কখনো তাই স্তনকোষগুলো স্বাভাবিক কোষের অনেক গুণ বেশি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকা এসব কোষ মিলে বড় একটি পুঞ্জ তৈরি করে তাকে বলি টিউমার। এই টিউমার আবার দুই ধরনের।
১)বিনাইনঃ বেশীরভাগ স্তন টিউমার বিনাইন হয় যা ক্ষতিকর নয়। কিছু বিনাইন টিউমার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
২)ম্যালিগন্যান্টঃ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের মধ্যে এমন ধরনের ক্যান্সার জীবকোষ থাকে যা চিকিৎসা না করা হলে স্তনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো রক্তপ্রবাহ কিংবা লসিকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এইসব জীবকোষ নতুন এলাকায় পৌছে নতুন টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। এই নতুন টিউমারকে বলা হয় মেটাস্ট্যাটিক টিউমার।
কাদের স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি আছে ?
সব নারী স্তন ক্যানসারের জন্য সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। ২০ বছর বয়সের আগে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। স্তন ক্যানসার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা না গেলেও, এ রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়। এ জন্য শারীরিক পরিশ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন স্বাভাবিক রাখা, প্রতিদিন ফলমূল-শাকসবজি খাওয়া, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো প্রভৃতি প্রয়োজন।
প্রাথমিক ভাবে_দ কোন কোন বিষয়ে সচেতনত থাকতে হবে ?
দ্রুত ও সময়ানুগ রোগনির্ণয়ে সফলতাই স্তন ক্যানসার চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি। এ জন্য সবার আগে চাই নারীর সচেতনতা। ৩৫ বছর পার হয়ে গেলেই নিজের স্তন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে প্রত্যেক নারীকে। নিজেকে নিজে পরীক্ষা করা এবং স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সম্যক অবহিত থাকা হচ্ছে এই সচেতনতার প্রথম ধাপ। জেনে নেওয়া দরকার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কেও। পরিবারে কারও স্তন ক্যানসারের ইতিহাস, অত্যধিক ওজন, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, হরমোন ট্যাবলেট সেবনের ইতিহাস, মাসিকের ইতিহাস— এগুলো জানা জরুরি। এর আগে স্তনে কোনো সমস্যা হয়েছিল কি না বা কোনো পরীক্ষা, যেমন—
ম্যামোগ্রাফি করা হয়েছিল কি না। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এরপর দরকার একটি সার্বিক ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট। স্তনে যেকোনো সমস্যা বা সন্দেহজনক পরিবর্তনে প্রথমেই শরণাপন্ন হতে হবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের।
স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষন
স্তনে কোনো চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলেঃ-
গোসলের সময় মাসে অন্তত একবার হাত দিয়ে স্তন ও বগল পরীক্ষা করার সময় যদি হাতে কোনো চাকা অনুভব করা যায়, যা আগে কখনো ছিল না। এর আগে স্তনে টিউমারের চিকিৎসা হয়েছে—এমন কারও নতুন করে আবার কোথাও চাকা দেখা দিলে। চাকাটি খুব দ্রুত বড় হতে থাকলে। চাকাটি যদি স্তনের চামড়া বা স্তনবৃন্তের সঙ্গে ঘনভাবে সন্নিবেশিত থাকে। দুই স্তনের আকার ও আকৃতিতে অস্বাভাবিক গরমিল দেখা দিলে। পর পর দুটি মাসিকের পরও স্তনের চাকা চাকা ভাব অনুভূত হতে থাকলে। স্তনের সিস্ট ঘন ঘন দেখা দিলে। বারবার ফোঁড়া হতে থাকলে।
স্তনে ব্যথাঃ-
শুধু ব্যথা কোনো দুশ্চিন্তার বিষয় নয়, কিন্তু এর সঙ্গে চাকা, বিকৃতি বা যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মেনোপজের পর কোনো নারীর এক পাশে অস্বাভাবিক ও স্থায়ী ব্যথা। যে তীব্র ব্যথা সাপোর্টিভ ব্রা বা ব্যথানাশক খেলেও দূর হচ্ছে না। স্তনবৃন্তের অস্বাভাবিকতা
স্তনবৃন্ত থেকে রক্তক্ষরণঃ-
দীর্ঘস্থায়ী অ্যাকজিমা বা ক্ষত। স্তনবৃন্ত ভেতর দিকে ঢুকে যাওয়া, দেবে যাওয়া বা এক পাশে সরে যাওয়া। যেকোনো বয়সে বৃন্ত থেকে নিঃসৃত ক্ষরণ সর্বদা কাপড়ে লেগে থাকা।
স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহঃ-
আগেই বলে রাখি,স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে বোঝা যায়নি। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশী। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। উল্লেখিত কারণ সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করলামঃ-
জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টরঃ-
- স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটি কারণ হলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ক্রটিযুক্ত ‘জিন’।
- যেসব অস্বাভাবিক জিন স্তনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, তাদের মধ্যে আছে ইজঈঅ১ এবং ইজঈঅ২ জিন।
পারিবারিক ইতিহাসঃ-
- একই পরিবারের দুই বা তার বেশি নিকট আত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার। একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য ক্যান্সার, বিশেষ করে, মলাশয় ও ভ্রম্নণকোষের ক্যান্সার, সেই সাথে স্তনের ক্যান্সার। ৪০ বছরের কম বয়সী একজন নিকট আত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার।
- স্তনের ক্যান্সারের আক্রান্ত এমন একজন আত্মীয় যার দুই স্তনেই এই রোগ হয়েছে।
ব্যক্তিগত ইতিহাসঃ-
যেসব মহিলার এক স্তনে ক্যান্সার হয়েছে তাদের জন্য স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
জাতিঃ-
শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এশিয়ান বা আফ্রিকান মহিলাদের চেয়ে বেশি।
অন্যান্য কারণসমূহ :-
সন্তানহীনতা বা বেশি বয়সে সন্তান হওয়া। খুব অল্প বয়সেই ঋতুস্রাব শুরু হওয়া কিংবা ঋতুবন্ধ বেশি বয়সে হওয়া। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপী।
শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো। অ্যালকোহল ব্যবহার। স্থূলতা, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার এবং শারীরিক কর্মহীনতা।
!!!!! ঘরে বসে নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা !!!!!
প্রতি মাসে নিজে থেকে মিনিট কয়েকের মধ্যে করে ফেলা স্তন
ক্যান্সার পরিক্ষা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শতকরা ৭০%
ক্ষেত্রেই নিজে নিজে পরীক্ষা করে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরে ফেলা সম্বব।
যারা আগে ধরে ফেলতে পারবেন তাদের শতকরা ৯৮% আরগ্য লাভ করতে
পারেন।
#নিজের_স্তন_নিজে_কখন_পরীক্ষা_করবেন ?
২০ বছর বয়স হতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা
করতে হবে।
মাসিক শুরুর ৫ থেকে ৭ দিন পর সাধারণত এই পরীক্ষা করতে হবে, যখন স্তন
নরম এবং কম ব্যথা থাকে।
বয়সের কারণে যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় অথবা যেসব নারী গর্ভবতী
তারা এটি করবেন প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে।
যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা পরীক্ষাটি করবেন প্রতি
মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর পর।
নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করার পদ্ধতিঃ-
নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি আপনার ঈগোকে জেরে ফেলে,জেনে নিন কিভাবে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে হয়। সাধারণত ৫টি ধাপে এটা করা সম্ভব।
ধাপ ১
আয়নার সামনে কাধ সোজা করে দাঁড়ান, কোমরে হাত রাখুন ও আপনার স্তনের দিকে তাকান এবং লক্ষ করুন।
--> আপনার স্তনের আকার, আকৃতি ও রং।
--> স্তনদ্বয় দৃশ্যত ফোলা স্থান অথবা বিকৃতি ছাড়া একই আকৃতির আছে কিনা।
নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলে অতিসত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন.
--> কুঁচকানো, ফোলা চামড়া অথবা চামড়াতে ডিম্পল (অনেকটা কমলা লেবুর খোসার মত)
--> স্তনের কোথাও ক্ষত অথবা লাল স্থান অথবা ফোলা স্থান।
-->স্থান পরিবর্তিত নিপল অথবা কুচঁকানো অথবা ভিতরে ঢুকে যাওয়া নিপল।
ধাপ ২
এবার দুহাত মাথার উপর তুলুন ও পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত পরিবর্তনগুলো আবারও লক্ষ্য করুন।
ধাপ ৩
এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই লক্ষ করুন আপনার নিপল থেকে (একটি অথবা দুটি থেকেই) কোনো ধরনের তরল জাতীয় কিছু (যেমন পানির মত অথবা হলুদে অথবা রক্ত) বের হচ্ছে কিনা।
ধাপ ৪
এবার শুয়ে পড়–ন এবং আপনার ডান হাত দিয়ে বাম স্তনে চাপ দিন। এক্ষেত্রে আপনার হাতের আঙুলগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করুন (হাতের তালু নয়) ধীরে ধীরে চাকতির মত করে হাত ঘুরান ও অনুভব করুন। এভাবে সম্পূর্ণ স্তনকে পরীক্ষা করুন (উপরের কলারবোন থেকে পেটের ওপর পর্যন্ত ও একপাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত এবং অবশ্যই একইভাবে বগল পরীক্ষা করুন) একই ভাবে বাম হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন।
ধাপ ৫
এবার আপনি বসে অথবা দাঁড়িয়ে পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত উপায়ে আবা আপনার স্তনদ্বয় পরীক্ষা করুন। এই ধাপটি গোসল করার সময়ও করতে পারেন, কারণ সে সময় চামড়া ভিজা ও পিচ্ছিল থাকে বলে পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়। নিচের ছবি গুলো খেয়াল করুন………
নিয়মিত ব্যায়াম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
প্রতিটি নারীরই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে মধ্য বয়সী মহিলাদের এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি। ইদানীং অনেক কম বয়সী মেয়েদেরকেও এই মারাত্মকরোগটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অনেকাংশেই নারীদের অনেক ভুলের কারণেও এই মারাত্মক ব্যাধি দেহে বাসা বেঁধে থাকে। এবং নারীদের জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দিনে মাত্র ৩০ মিনিটের শারীরিক ব্যায়াম নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অনেকাংশে।
বিজ্ঞানীরা দেখতে পান বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যেসকল নারীদের ওজন বেশি তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনাঅন্যান্যদের তুলনায় প্রায় ৫০% বেশি। তারা আরও বলেন যেসকল নারীরা সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘণ্টা শারীরিক ব্যায়ামকরেন তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি কমে যায় প্রায় ২১%। এর মূল কারণ হচ্ছে যখন শারীরিক ব্যায়াম করা হয় না তখন স্বভাবতই মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে যায়, দেহে জমা হয় ফ্যাট। দেহের এই ফ্যাট কোষ গুলোতে থাকে ইস্ট্রোজেন। যা দেহে টিউমারের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এপিডেমোলজি ইউনিটের গবেষকগণ জানান, দেহে সামান্যতম মেদ থাকার অর্থ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি। তাই যেকোনো বয়সী নারী এবং যেকোনো ওজনের নারী হোন না কেন নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহে ফ্যাট জমতে দেয়া থেকে বিরত থাকুন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
 

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

এন্টিবায়োটিক এবং হোমিওপ্যাথিঃ


এন্টিবায়োটিক এবং হোমিওপ্যাথিঃ
কেবল সেই সব ঔষধকেই এন্টিবায়োটিক বলা হয় যারা রোগের সাথে
সম্পর্কিত জীবাণুকে হত্যা বা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে।
এন্টিবায়োটিক( Antibiotic ) গ্রুপের ঔষধসমূহ আবিষ্কৃত হওয়ার কারণেই
এলোপ্যাথির এতো অগ্রগতি, এতো দ্রুত কাজ করে। কিন্তু এর অনেক খারাপ
দিকও রয়েছে যা সাধারণ মানুষের জ্ঞান-সীমার বাইরে।
এন্টিবায়োটিকের দ্রুত কাজ করার কারনেই আমাদের এলোপ্যাথ ডাক্তার
সাহেবগণ কথায় কথায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন যা কোন ভাবেই এতো
অপব্যবহার উচিত না । সে যাক, হোমিওপ্যাথিতে এন্টিবায়োটিক নামে
ঔষধের কোন গ্রুপ নাই বটে ; তবে বেশ কিছু হোমিও ঔষধ আছে যাদেরকে
লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারলে, দেখবেন এরা বাজারের যে-কোন
উচ্চশক্তির এন্টিবায়োটিকের চাইতেও ভালো এবং দ্রুত কাজ করছে। যেমন
- Aconitum nap, Arsenic alb, Arnica, Belladonna, Baptisia tin, Echinacea ang, Kali bichromicum, Lachesis, Ferrum phos, Hepar sulph, Mercurius sol, Phosphorus, Pulsatilla, Pyrogenium এবং Veratrum alb ঔষধগুলিকে বিপদজ্জনক পরিস্থিতিতে হোমিও এন্টিবায়োটিকরূপে ব্যবহার করতে পারেন। এদের
বাইরেও আরো অনেক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে, যাদের লক্ষণ মিলিয়ে
প্রয়োগ করলে এন্টিবায়োটিকের মতো ফল পাবেন।
সাধারণত মারাত্মক কোন জীবাণুর আক্রমণ (infection) নিয়ন্ত্র্রণ এবং নিমূর্ল করতে যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকেরও দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায় ; কিন্তু যদি ঠিক-ঠাক মতো লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধগুলো উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে দেখবেন দুই-এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোন মারাত্মক ইনফেকশানও নিয়ন্ত্রনে এসে যায়।
আরেকটি কথা হলো এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া (bacteria) নিধন করতে পারে কিন্তু ভাইরাস (virus) দমন করতে পারে না; কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেগুলো ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস-ফাংগাস সবই মুহূর্তের মধ্যে বিনাশ করে দিবে।
এলোপ্যাথিতে যদিও কিছু এন্টিভাইরাল ঔষধও আছে, কিন্তু এদের দাম এতো বেশী যে তাতে রোগীদের ভিটে-মাটি বিক্রি করা লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে রক্তের কালচার টেস্ট (Culture test) করে জানতে হয়, কোন জাতের বা উপজাতের জীবাণু আক্রমণ করেছে এবং কোন এন্টিবায়োটিকে তাকে মারা সম্ভব ! কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো ঠিকমতো লক্ষণ মিলিয়ে দিতে পারলে জীবাণু নিশ্চিতই বিনাশ হবে, তাদের জাত-কুল জানা যাক আর না যাক। তাছাড়া হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকগুলোর সাইড-ইফেক্ট এতই মারাত্মক, তাতে যে কারোর অকাল মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। এগুলো মস্তিষ্ক (brain) বা স্নায়ুতন্ত্রের (nervus system) এবং হাড়ের মেরুমজ্জার (bone-marrow) এত বেশি ক্ষতি করে যে, তাতে যে কেউ প্যারালাইসিস (Paralysis), ব্রেন ড্যামেজ (Brain damage), ব্লাড ক্যানসার (Blood cancer), সারাজীবনের জন্য কংকালসার (Emaciation) হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে এমন জঘন্য ধরনের কোন সাইড-ইফেক্ট নাই ; এমনকি ছোট্ট শিশুরাও যদি ভুল ঔষধ খেয়ে ফেলে তাতেও না।
আরেকটি কথা হচ্ছে, এন্টিবায়োটিকগুলো ক্ষতিকর জীবাণু বিনাশের সাথে সাথে আমাদের শরীরের অনেক উপকারী জীবাণুকেও বিনাশ করে দেয় ; কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো উপকারী জীবাণু হত্যা করে না। এজন্য অনেক বিজ্ঞানী এন্টিবায়োটিককে মনে করেন আন্দাজে বোমা মারার সমান ; যাতে দুশমনও মরে আবার নিরীহ মানুষও মরে আবার কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজনও মরে সাফ হয়ে যায়।
(১) Aconitum napellus :
যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি সেটি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। রোগের উৎপাত এত বেশী হতে পারে যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে।
(২) Bryonia alba :
যদি রোগীর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, অনেকক্ষণ পর পর বেশি পরিমানে পানি পান করতে চায়, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, পায়খানা শক্ত ইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে হোউক না তা টাইফয়েড, এপেন্ডিসাইটিস, নিউমোনিয়া বা আরো মারাত্মক কোন ইনফেকশান, ব্রায়োনিয়াই হবে তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। উচ্চ শক্তিতে (১০০০, ১০০০০, ৫০০০০) এক ডোজ ব্রায়োনিয়া খাইয়ে দিন ; সম্ভবত দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানোর আর প্রয়োজন হবে না।
(৩) Belladonna :
যে-কোন রোগে যদি সারা শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, আর যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায়, শরীর জ্বালা--পোড়া করতে থাকে, তাহলে বেলেডোনাই হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। যে কোন রোগের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে (অর্থাৎ এলোমেলোভাবে কথা বলতে থাকে), তাহলে বুঝতে হবে যে রোগীর ব্রেনে ইনফেকশান হয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে বেলেডোনা হলো তার সেরা এন্টিবায়োটিক।

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

যেসব ভুলে নষ্ট করছেন নিজের কিডনি

যেসব ভুলে নষ্ট করছেন নিজের কিডনি
আমাদের শরীরের নানা বর্জ্য পদার্থ, অব্যবহৃত খাদ্য এবং বাড়তি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে কিডনি। দেহের নানা বর্জ্য পদার্থের ক্ষতিকর টক্সিন থেকে আমাদের শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ কারণেই আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই কিডনির দিকে ঠিক মতো নজর দিতে ভুলে যায়। আর শুধুমাত্র এই কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ কিডনির সমস্যায় মারা যান।
কিডনির প্রতি ঠিকমতো নজর না দিয়ে কিডনি রোগে আক্রান্তের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। প্রতিনিয়ত আমরা এমন কিছু অনিয়ম করে থাকি যার প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের কিডনির ওপর। কিন্তু আমাদের নিজের ভালোর জন্য আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চলুন তবে কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী অনিয়মগুলো জেনে নিই এবং সতর্কতার সঙ্গে এই অনিয়মগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
মদ্যপান করা
মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে কিডনি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
কিডনির সুরক্ষার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করায় ক্ষতি হয় কিডনির। বাসাথেকে বাইরে বের হলেই অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি। এমনকি কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
মাংস বেশি খাওয়া
অনেকের একটি বড় বাজে অভ্যাস রয়েছে যা হলো মাংসের প্রতি আসক্ততা। অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভরশীল। এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরি। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক করুন।
অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া
অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কাজ। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।
প্রস্রাব আটকে রাখা
ঘরের বাইরে বেরোলে অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখা কাজটি করে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে এর ক্ষতির মাত্রা ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে এবং কিডনি সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না। বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অন্য উপায় খুঁজে নিন। এতে করে কিডনি সুস্থ থাকবে।

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

চারটি জিনিস মর্যাদা বৃদ্ধি করে:
১) ধৈর্য ও সহনশীলতা
২) বিনয়
৩) উদারতা
৪) সুন্দর ব্যবহার
-
চারটি জিনিস মহত্বের পরিচায়ক:
১) মানুষের উপকার করা (অর্থ, শ্রম, বুদ্ধি ও পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে)
২) মানুষকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা
৩) কারো ভালো কাজের পুরষ্কার যথাসম্ভব দ্রুত দেয়া
৪) কাউকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হলে তাড়াহুড়া না করা
-
চারটি কাজ নিচু স্বভাবের পরিচায়ক:
১) গোপন কথা ফাঁস করে দেয়া
২) বিশ্বাসঘাতকতা করা
৩) অসাক্ষাতে অন্যের দোষ সমালোচনা করা
৪) প্রতিবেশী বা সঙ্গীর সাথে খারাপ আচরণ করা
-
জ্ঞানীরা চারটি জিনিস থেকে দূরে থাকে:
১) যে কোন কাজে তাড়াহুড়া করা
২) সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগা
৩) আত্মম্ভরিতা দেখানো
৪) গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবহেলা করা।