এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!

বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!

২০১৫ আগস্ট ২৭ ১৯:০৫:০৬
বিনা পয়সার যে খাবারটি আপনার যৌবন ধরে রাখবে আজীবন!
সমস্যা সমাধান ও রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা কত কিনা করি। চিকিৎসা করতে গিয়ে বেশ ক্ষতি ডেকে আনি নিজেদের জন্যই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড জ্বর, ডায়রিয়া, কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়। অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়, আমরা জানি না। অনেক সময় জেনেও, বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।
থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা। পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে। কথায় বলে, পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। চিকিত্‍সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেতে পারলে, পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই, ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়। দেখে নেওয়া যাক, যৌবন ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি।
১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. শুধু পেটই নয়, আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।
৩. থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
৫. মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়। থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
৬. পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে, থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে, ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

গল্পে গল্পে নামতা শিখি

গল্পে গল্পে নামতা শিখি

***************************
ক্লাস থ্রী'র ছেলেদের তাদের গণিতের বদরাগী ম্যাম 9 এর নামতা লিখতে বলল। কিন্তু এক ফাঁকিবাজ ছেলে নামতা শিখে আসে নি। কিন্তু ম্যামের করা শাস্তির ভয়ে লিখতে শুরু করল...
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
9 ×
-
তারপর বসে রইল কেননা সে এরপর আর পারে না। এরমাঝে ম্যামের হামকি-ধামকি আর না পারার শাস্তির বারংবার উল্লেখ। তাই সে এরপর লিখতে শুরু করল...
9 × 1 =
9 × 2 =
9 × 3 =
9 × 4 =
9 × 5 =
9 × 6 =
9 × 7 =
9 × 8 =
9 × 9 =
9 × 10 =
-
তারপর আবারো ভয়ে ভয়ে বসে রইল। কি করবে তা ই ভাবছে। হঠাৎ 9 × 1 = 9 আর 9 × 10 = 90 মনে পড়ল। তা লিখে ফেলল...
9 × 1 = 9
9 × 2 =
9 × 3 =
9 × 4 =
9 × 5 =
9 × 6 =
9 × 7 =
9 × 8 =
9 × 9 =
9 × 10 = 90
-
কিন্তু এর পর তো কিছুই মনে পড়ছে না; আর ওর তো আর কিছুই করার নেই। কারণ ছেলেটা নামতাটা কখনোই শিখে নি। কিন্তু ম্যামের ধাবড়ানী বেড়েই যাচ্ছে। ম্যাম চেক করে দেখতে লাগল কে কে লিখছে না। ভয় পেয়ে সে এর পর খালি জায়গা গুলোতে 1, 2, 3, 4... লিখতে থাকল...
9 × 1 = 9
9 × 2 = 1
9 × 3 = 2
9 × 4 = 3
9 × 5 = 4
9 × 6 = 5
9 × 7 = 6
9 × 8 = 7
9 × 9 = 8
9 × 10 = 90
-
হঠাৎ করে বদরাগী ম্যামটা খাতা তুলতে শুরু করল আর বলতে লাগল যে যারা নামতা ভুল করবে তাদের আজ কঠিন শাস্তি! ভয়ে ছেলেটার কলিজা শুকিয়ে যাবার অবস্থা... তাই ঝটপট নিচ থেকে লিখতে থাকল... 1, 2, 3, 4...
9 × 1 = 9
9 × 2 = 18
9 × 3 = 27
9 × 4 = 36
9 × 5 = 45
9 × 6 = 54
9 × 7 = 63
9 × 8 = 72
9 × 9 = 81
9 × 10 = 90
-
লেখাটা শেষ হতে না হতেই বদরাগী ম্যামটা খাতা নিয়ে গেল। খাতা দেখে ম্যামটা বাচ্চা ছেলেটাকে গম্ভীরভাবে ডাকল। ছেলেটার তো ভয়ে অজ্ঞান হবার অবস্থা। সে কাঁপতে কাঁপতে গেল। তাকে ম্যাম Excellent বলে আদর করে দিল।
-
তবে ছেলেটা কিন্তু বুঝতেই পারল না কি করে সে এত কঠিন একটা নামতা লিখে ফেলল!


বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

স্তন ক্যান্সার

স্তন ক্যান্সার

স্তন ক্যান্সার কি ?
ক্যানসার এমন এক রোগ, যার অন্তর্নিহিত কথা হলো, এ রোগে দেহের কোষগুলো বাড়তে থাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কোষগুলো সব অরাজকতা সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠে, যেন সবাই রাজা নিজের রাজত্বে। আর স্তনে যখন এমন কর্ম চলে, মানে ক্যানসারের সূচনা ঘটে, তখন একে আমরা বলি স্তন ক্যানসার। স্তনেরও রয়েছে তিনটি অংশ, গ্রন্থি, নালি ও সংযোজক কলা। কখনো কখনো তাই স্তনকোষগুলো স্বাভাবিক কোষের অনেক গুণ বেশি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকা এসব কোষ মিলে বড় একটি পুঞ্জ তৈরি করে তাকে বলি টিউমার। এই টিউমার আবার দুই ধরনের।
১)বিনাইনঃ বেশীরভাগ স্তন টিউমার বিনাইন হয় যা ক্ষতিকর নয়। কিছু বিনাইন টিউমার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
২)ম্যালিগন্যান্টঃ ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের মধ্যে এমন ধরনের ক্যান্সার জীবকোষ থাকে যা চিকিৎসা না করা হলে স্তনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো রক্তপ্রবাহ কিংবা লসিকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এইসব জীবকোষ নতুন এলাকায় পৌছে নতুন টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। এই নতুন টিউমারকে বলা হয় মেটাস্ট্যাটিক টিউমার।
কাদের স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি আছে ?
সব নারী স্তন ক্যানসারের জন্য সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। ২০ বছর বয়সের আগে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। স্তন ক্যানসার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা না গেলেও, এ রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়। এ জন্য শারীরিক পরিশ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন স্বাভাবিক রাখা, প্রতিদিন ফলমূল-শাকসবজি খাওয়া, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো প্রভৃতি প্রয়োজন।
প্রাথমিক ভাবে_দ কোন কোন বিষয়ে সচেতনত থাকতে হবে ?
দ্রুত ও সময়ানুগ রোগনির্ণয়ে সফলতাই স্তন ক্যানসার চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি। এ জন্য সবার আগে চাই নারীর সচেতনতা। ৩৫ বছর পার হয়ে গেলেই নিজের স্তন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে প্রত্যেক নারীকে। নিজেকে নিজে পরীক্ষা করা এবং স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সম্যক অবহিত থাকা হচ্ছে এই সচেতনতার প্রথম ধাপ। জেনে নেওয়া দরকার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিগুলো সম্পর্কেও। পরিবারে কারও স্তন ক্যানসারের ইতিহাস, অত্যধিক ওজন, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, হরমোন ট্যাবলেট সেবনের ইতিহাস, মাসিকের ইতিহাস— এগুলো জানা জরুরি। এর আগে স্তনে কোনো সমস্যা হয়েছিল কি না বা কোনো পরীক্ষা, যেমন—
ম্যামোগ্রাফি করা হয়েছিল কি না। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এরপর দরকার একটি সার্বিক ক্লিনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট। স্তনে যেকোনো সমস্যা বা সন্দেহজনক পরিবর্তনে প্রথমেই শরণাপন্ন হতে হবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের।
স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষন
স্তনে কোনো চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলেঃ-
গোসলের সময় মাসে অন্তত একবার হাত দিয়ে স্তন ও বগল পরীক্ষা করার সময় যদি হাতে কোনো চাকা অনুভব করা যায়, যা আগে কখনো ছিল না। এর আগে স্তনে টিউমারের চিকিৎসা হয়েছে—এমন কারও নতুন করে আবার কোথাও চাকা দেখা দিলে। চাকাটি খুব দ্রুত বড় হতে থাকলে। চাকাটি যদি স্তনের চামড়া বা স্তনবৃন্তের সঙ্গে ঘনভাবে সন্নিবেশিত থাকে। দুই স্তনের আকার ও আকৃতিতে অস্বাভাবিক গরমিল দেখা দিলে। পর পর দুটি মাসিকের পরও স্তনের চাকা চাকা ভাব অনুভূত হতে থাকলে। স্তনের সিস্ট ঘন ঘন দেখা দিলে। বারবার ফোঁড়া হতে থাকলে।
স্তনে ব্যথাঃ-
শুধু ব্যথা কোনো দুশ্চিন্তার বিষয় নয়, কিন্তু এর সঙ্গে চাকা, বিকৃতি বা যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মেনোপজের পর কোনো নারীর এক পাশে অস্বাভাবিক ও স্থায়ী ব্যথা। যে তীব্র ব্যথা সাপোর্টিভ ব্রা বা ব্যথানাশক খেলেও দূর হচ্ছে না। স্তনবৃন্তের অস্বাভাবিকতা
স্তনবৃন্ত থেকে রক্তক্ষরণঃ-
দীর্ঘস্থায়ী অ্যাকজিমা বা ক্ষত। স্তনবৃন্ত ভেতর দিকে ঢুকে যাওয়া, দেবে যাওয়া বা এক পাশে সরে যাওয়া। যেকোনো বয়সে বৃন্ত থেকে নিঃসৃত ক্ষরণ সর্বদা কাপড়ে লেগে থাকা।
স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহঃ-
আগেই বলে রাখি,স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে বোঝা যায়নি। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশী। মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। উল্লেখিত কারণ সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করলামঃ-
জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টরঃ-
- স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটি কারণ হলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ক্রটিযুক্ত ‘জিন’।
- যেসব অস্বাভাবিক জিন স্তনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, তাদের মধ্যে আছে ইজঈঅ১ এবং ইজঈঅ২ জিন।
পারিবারিক ইতিহাসঃ-
- একই পরিবারের দুই বা তার বেশি নিকট আত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার। একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যান্য ক্যান্সার, বিশেষ করে, মলাশয় ও ভ্রম্নণকোষের ক্যান্সার, সেই সাথে স্তনের ক্যান্সার। ৪০ বছরের কম বয়সী একজন নিকট আত্মীয়ের স্তনের ক্যান্সার।
- স্তনের ক্যান্সারের আক্রান্ত এমন একজন আত্মীয় যার দুই স্তনেই এই রোগ হয়েছে।
ব্যক্তিগত ইতিহাসঃ-
যেসব মহিলার এক স্তনে ক্যান্সার হয়েছে তাদের জন্য স্তনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
জাতিঃ-
শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এশিয়ান বা আফ্রিকান মহিলাদের চেয়ে বেশি।
অন্যান্য কারণসমূহ :-
সন্তানহীনতা বা বেশি বয়সে সন্তান হওয়া। খুব অল্প বয়সেই ঋতুস্রাব শুরু হওয়া কিংবা ঋতুবন্ধ বেশি বয়সে হওয়া। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপী।
শিশুকে বুকের দুধ পান না করানো। অ্যালকোহল ব্যবহার। স্থূলতা, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার এবং শারীরিক কর্মহীনতা।
!!!!! ঘরে বসে নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা !!!!!
প্রতি মাসে নিজে থেকে মিনিট কয়েকের মধ্যে করে ফেলা স্তন
ক্যান্সার পরিক্ষা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শতকরা ৭০%
ক্ষেত্রেই নিজে নিজে পরীক্ষা করে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরে ফেলা সম্বব।
যারা আগে ধরে ফেলতে পারবেন তাদের শতকরা ৯৮% আরগ্য লাভ করতে
পারেন।
#নিজের_স্তন_নিজে_কখন_পরীক্ষা_করবেন ?
২০ বছর বয়স হতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা
করতে হবে।
মাসিক শুরুর ৫ থেকে ৭ দিন পর সাধারণত এই পরীক্ষা করতে হবে, যখন স্তন
নরম এবং কম ব্যথা থাকে।
বয়সের কারণে যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় অথবা যেসব নারী গর্ভবতী
তারা এটি করবেন প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে।
যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা পরীক্ষাটি করবেন প্রতি
মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর পর।
নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করার পদ্ধতিঃ-
নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি আপনার ঈগোকে জেরে ফেলে,জেনে নিন কিভাবে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে হয়। সাধারণত ৫টি ধাপে এটা করা সম্ভব।
ধাপ ১
আয়নার সামনে কাধ সোজা করে দাঁড়ান, কোমরে হাত রাখুন ও আপনার স্তনের দিকে তাকান এবং লক্ষ করুন।
--> আপনার স্তনের আকার, আকৃতি ও রং।
--> স্তনদ্বয় দৃশ্যত ফোলা স্থান অথবা বিকৃতি ছাড়া একই আকৃতির আছে কিনা।
নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলে অতিসত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন.
--> কুঁচকানো, ফোলা চামড়া অথবা চামড়াতে ডিম্পল (অনেকটা কমলা লেবুর খোসার মত)
--> স্তনের কোথাও ক্ষত অথবা লাল স্থান অথবা ফোলা স্থান।
-->স্থান পরিবর্তিত নিপল অথবা কুচঁকানো অথবা ভিতরে ঢুকে যাওয়া নিপল।
ধাপ ২
এবার দুহাত মাথার উপর তুলুন ও পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত পরিবর্তনগুলো আবারও লক্ষ্য করুন।
ধাপ ৩
এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই লক্ষ করুন আপনার নিপল থেকে (একটি অথবা দুটি থেকেই) কোনো ধরনের তরল জাতীয় কিছু (যেমন পানির মত অথবা হলুদে অথবা রক্ত) বের হচ্ছে কিনা।
ধাপ ৪
এবার শুয়ে পড়–ন এবং আপনার ডান হাত দিয়ে বাম স্তনে চাপ দিন। এক্ষেত্রে আপনার হাতের আঙুলগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করুন (হাতের তালু নয়) ধীরে ধীরে চাকতির মত করে হাত ঘুরান ও অনুভব করুন। এভাবে সম্পূর্ণ স্তনকে পরীক্ষা করুন (উপরের কলারবোন থেকে পেটের ওপর পর্যন্ত ও একপাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত এবং অবশ্যই একইভাবে বগল পরীক্ষা করুন) একই ভাবে বাম হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন।
ধাপ ৫
এবার আপনি বসে অথবা দাঁড়িয়ে পূর্ববর্তী ধাপে বর্ণিত উপায়ে আবা আপনার স্তনদ্বয় পরীক্ষা করুন। এই ধাপটি গোসল করার সময়ও করতে পারেন, কারণ সে সময় চামড়া ভিজা ও পিচ্ছিল থাকে বলে পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়। নিচের ছবি গুলো খেয়াল করুন………
নিয়মিত ব্যায়াম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
প্রতিটি নারীরই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে মধ্য বয়সী মহিলাদের এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি। ইদানীং অনেক কম বয়সী মেয়েদেরকেও এই মারাত্মকরোগটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। অনেকাংশেই নারীদের অনেক ভুলের কারণেও এই মারাত্মক ব্যাধি দেহে বাসা বেঁধে থাকে। এবং নারীদের জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দিনে মাত্র ৩০ মিনিটের শারীরিক ব্যায়াম নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অনেকাংশে।
বিজ্ঞানীরা দেখতে পান বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যেসকল নারীদের ওজন বেশি তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনাঅন্যান্যদের তুলনায় প্রায় ৫০% বেশি। তারা আরও বলেন যেসকল নারীরা সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘণ্টা শারীরিক ব্যায়ামকরেন তাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি কমে যায় প্রায় ২১%। এর মূল কারণ হচ্ছে যখন শারীরিক ব্যায়াম করা হয় না তখন স্বভাবতই মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে যায়, দেহে জমা হয় ফ্যাট। দেহের এই ফ্যাট কোষ গুলোতে থাকে ইস্ট্রোজেন। যা দেহে টিউমারের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম দেহে ফ্যাট জমতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এপিডেমোলজি ইউনিটের গবেষকগণ জানান, দেহে সামান্যতম মেদ থাকার অর্থ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি। তাই যেকোনো বয়সী নারী এবং যেকোনো ওজনের নারী হোন না কেন নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহে ফ্যাট জমতে দেয়া থেকে বিরত থাকুন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
 

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

এন্টিবায়োটিক এবং হোমিওপ্যাথিঃ


এন্টিবায়োটিক এবং হোমিওপ্যাথিঃ
কেবল সেই সব ঔষধকেই এন্টিবায়োটিক বলা হয় যারা রোগের সাথে
সম্পর্কিত জীবাণুকে হত্যা বা জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে।
এন্টিবায়োটিক( Antibiotic ) গ্রুপের ঔষধসমূহ আবিষ্কৃত হওয়ার কারণেই
এলোপ্যাথির এতো অগ্রগতি, এতো দ্রুত কাজ করে। কিন্তু এর অনেক খারাপ
দিকও রয়েছে যা সাধারণ মানুষের জ্ঞান-সীমার বাইরে।
এন্টিবায়োটিকের দ্রুত কাজ করার কারনেই আমাদের এলোপ্যাথ ডাক্তার
সাহেবগণ কথায় কথায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন যা কোন ভাবেই এতো
অপব্যবহার উচিত না । সে যাক, হোমিওপ্যাথিতে এন্টিবায়োটিক নামে
ঔষধের কোন গ্রুপ নাই বটে ; তবে বেশ কিছু হোমিও ঔষধ আছে যাদেরকে
লক্ষণ মিলিয়ে প্রয়োগ করতে পারলে, দেখবেন এরা বাজারের যে-কোন
উচ্চশক্তির এন্টিবায়োটিকের চাইতেও ভালো এবং দ্রুত কাজ করছে। যেমন
- Aconitum nap, Arsenic alb, Arnica, Belladonna, Baptisia tin, Echinacea ang, Kali bichromicum, Lachesis, Ferrum phos, Hepar sulph, Mercurius sol, Phosphorus, Pulsatilla, Pyrogenium এবং Veratrum alb ঔষধগুলিকে বিপদজ্জনক পরিস্থিতিতে হোমিও এন্টিবায়োটিকরূপে ব্যবহার করতে পারেন। এদের
বাইরেও আরো অনেক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে, যাদের লক্ষণ মিলিয়ে
প্রয়োগ করলে এন্টিবায়োটিকের মতো ফল পাবেন।
সাধারণত মারাত্মক কোন জীবাণুর আক্রমণ (infection) নিয়ন্ত্র্রণ এবং নিমূর্ল করতে যে-কোন হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকেরও দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায় ; কিন্তু যদি ঠিক-ঠাক মতো লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধগুলো উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে দেখবেন দুই-এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোন মারাত্মক ইনফেকশানও নিয়ন্ত্রনে এসে যায়।
আরেকটি কথা হলো এন্টিবায়োটিকগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া (bacteria) নিধন করতে পারে কিন্তু ভাইরাস (virus) দমন করতে পারে না; কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সেগুলো ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস-ফাংগাস সবই মুহূর্তের মধ্যে বিনাশ করে দিবে।
এলোপ্যাথিতে যদিও কিছু এন্টিভাইরাল ঔষধও আছে, কিন্তু এদের দাম এতো বেশী যে তাতে রোগীদের ভিটে-মাটি বিক্রি করা লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে রক্তের কালচার টেস্ট (Culture test) করে জানতে হয়, কোন জাতের বা উপজাতের জীবাণু আক্রমণ করেছে এবং কোন এন্টিবায়োটিকে তাকে মারা সম্ভব ! কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো ঠিকমতো লক্ষণ মিলিয়ে দিতে পারলে জীবাণু নিশ্চিতই বিনাশ হবে, তাদের জাত-কুল জানা যাক আর না যাক। তাছাড়া হাই-পাওয়ারের এন্টিবায়োটিকগুলোর সাইড-ইফেক্ট এতই মারাত্মক, তাতে যে কারোর অকাল মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে। এগুলো মস্তিষ্ক (brain) বা স্নায়ুতন্ত্রের (nervus system) এবং হাড়ের মেরুমজ্জার (bone-marrow) এত বেশি ক্ষতি করে যে, তাতে যে কেউ প্যারালাইসিস (Paralysis), ব্রেন ড্যামেজ (Brain damage), ব্লাড ক্যানসার (Blood cancer), সারাজীবনের জন্য কংকালসার (Emaciation) হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে এমন জঘন্য ধরনের কোন সাইড-ইফেক্ট নাই ; এমনকি ছোট্ট শিশুরাও যদি ভুল ঔষধ খেয়ে ফেলে তাতেও না।
আরেকটি কথা হচ্ছে, এন্টিবায়োটিকগুলো ক্ষতিকর জীবাণু বিনাশের সাথে সাথে আমাদের শরীরের অনেক উপকারী জীবাণুকেও বিনাশ করে দেয় ; কিন্তু হোমিও ঔষধগুলো উপকারী জীবাণু হত্যা করে না। এজন্য অনেক বিজ্ঞানী এন্টিবায়োটিককে মনে করেন আন্দাজে বোমা মারার সমান ; যাতে দুশমনও মরে আবার নিরীহ মানুষও মরে আবার কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজনও মরে সাফ হয়ে যায়।
(১) Aconitum napellus :
যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি সেটি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। রোগের উৎপাত এত বেশী হতে পারে যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে।
(২) Bryonia alba :
যদি রোগীর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, অনেকক্ষণ পর পর বেশি পরিমানে পানি পান করতে চায়, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, পায়খানা শক্ত ইত্যাদি লক্ষণ থাকে, তবে হোউক না তা টাইফয়েড, এপেন্ডিসাইটিস, নিউমোনিয়া বা আরো মারাত্মক কোন ইনফেকশান, ব্রায়োনিয়াই হবে তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। উচ্চ শক্তিতে (১০০০, ১০০০০, ৫০০০০) এক ডোজ ব্রায়োনিয়া খাইয়ে দিন ; সম্ভবত দ্বিতীয় ডোজ খাওয়ানোর আর প্রয়োজন হবে না।
(৩) Belladonna :
যে-কোন রোগে যদি সারা শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, আর যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায়, শরীর জ্বালা--পোড়া করতে থাকে, তাহলে বেলেডোনাই হলো তার শ্রেষ্ট এন্টিবায়োটিক। যে কোন রোগের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে (অর্থাৎ এলোমেলোভাবে কথা বলতে থাকে), তাহলে বুঝতে হবে যে রোগীর ব্রেনে ইনফেকশান হয়েছে এবং এসব ক্ষেত্রে বেলেডোনা হলো তার সেরা এন্টিবায়োটিক।

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

যেসব ভুলে নষ্ট করছেন নিজের কিডনি

যেসব ভুলে নষ্ট করছেন নিজের কিডনি
আমাদের শরীরের নানা বর্জ্য পদার্থ, অব্যবহৃত খাদ্য এবং বাড়তি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে কিডনি। দেহের নানা বর্জ্য পদার্থের ক্ষতিকর টক্সিন থেকে আমাদের শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ কারণেই আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই কিডনির দিকে ঠিক মতো নজর দিতে ভুলে যায়। আর শুধুমাত্র এই কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ কিডনির সমস্যায় মারা যান।
কিডনির প্রতি ঠিকমতো নজর না দিয়ে কিডনি রোগে আক্রান্তের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। প্রতিনিয়ত আমরা এমন কিছু অনিয়ম করে থাকি যার প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের কিডনির ওপর। কিন্তু আমাদের নিজের ভালোর জন্য আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। চলুন তবে কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী অনিয়মগুলো জেনে নিই এবং সতর্কতার সঙ্গে এই অনিয়মগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
মদ্যপান করা
মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে কিডনি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
কিডনির সুরক্ষার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করায় ক্ষতি হয় কিডনির। বাসাথেকে বাইরে বের হলেই অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তাই সব সময় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া
অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি। এমনকি কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
মাংস বেশি খাওয়া
অনেকের একটি বড় বাজে অভ্যাস রয়েছে যা হলো মাংসের প্রতি আসক্ততা। অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভরশীল। এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরি। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক করুন।
অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া
অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কাজ। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।
প্রস্রাব আটকে রাখা
ঘরের বাইরে বেরোলে অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখা কাজটি করে থাকেন। আপাত দৃষ্টিতে এর ক্ষতির মাত্রা ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে এবং কিডনি সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না। বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অন্য উপায় খুঁজে নিন। এতে করে কিডনি সুস্থ থাকবে।

বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

চারটি জিনিস মর্যাদা বৃদ্ধি করে:
১) ধৈর্য ও সহনশীলতা
২) বিনয়
৩) উদারতা
৪) সুন্দর ব্যবহার
-
চারটি জিনিস মহত্বের পরিচায়ক:
১) মানুষের উপকার করা (অর্থ, শ্রম, বুদ্ধি ও পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে)
২) মানুষকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা
৩) কারো ভালো কাজের পুরষ্কার যথাসম্ভব দ্রুত দেয়া
৪) কাউকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হলে তাড়াহুড়া না করা
-
চারটি কাজ নিচু স্বভাবের পরিচায়ক:
১) গোপন কথা ফাঁস করে দেয়া
২) বিশ্বাসঘাতকতা করা
৩) অসাক্ষাতে অন্যের দোষ সমালোচনা করা
৪) প্রতিবেশী বা সঙ্গীর সাথে খারাপ আচরণ করা
-
জ্ঞানীরা চারটি জিনিস থেকে দূরে থাকে:
১) যে কোন কাজে তাড়াহুড়া করা
২) সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগা
৩) আত্মম্ভরিতা দেখানো
৪) গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবহেলা করা।

Pruritus(চুলকানি) হোমিওপ্যাথিকক চিকিৎসাঃ

প্রুরিটাস বা চুলকানি হলো একটি রোগ লক্ষণ। এটি সাধারণত দু’ধরনের হয়ে থাকে। মহিলাদের বাহ্যিক যৌনাঙ্গের চুলকানি (Pruritus vulvae ev Pruritus vaginae) এবং পায়খানার রাস্তার চারপাশে চুলকানি (Pruritus ani)। এটি এমন এক অশান্তিদায়ক অনুভুতি যা মানুষকে খামচাতে অর্থাৎ চুলকাতে উৎসাহিত করে থাকে। খামচানো থেকে মাঝে মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগের সংক্রমণ (secondary infection) দেখা দেয়। প্রুরিটাস বা এসব রোমাঞ্চকর চুলকানির উল্লেখযোগ্য কারণগুলির মধ্যে আছে এলার্জি, জীবাণু সংক্রমণ, জন্ডিস, লিম্ফোমা, পাইলস, ডারমাটাইটিস (contact dermatitis), সোরিয়াসিস (psoriasis), ট্রাইকোমোনিয়াসিস (trichomoniasis), সুতা কৃমি, ত্বকের ইরিটেশন, ক্যানডিডিয়াসিস, ছত্রাকের (fungus) আক্রমণ ইত্যাদি। সর্বোপরি মানসিক (psychogenic) কারণেও প্রুরিটাস হতে পারে। এসব জায়গা দীর্ঘদিন একনাগারে চুলকানোর কারণে ফুলে মোটা হয়ে যেতে পারে এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এটি ক্যান্সারে রূপ নিয়ে রোগীর জীবনকে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে হাজির করতে পারে।
লক্ষণ অনুসারে নিম্নোক্ত ঔষধ প্রয়োগ করলে আশনুরুপ ফল পাওয়া যায়।
Calendula Officinalis : ক্যালেণ্ডুলা (ঔষধটি ভ্যাসেলিনের সাথে মিশিয়ে মলম আকারে ব্যবহার করে) অথবা আরো কিছু ঔষধ আছে যা ব্যবহার করে সাময়িক আরাম পেতে পারেন। কিন্তু এই জাতীয় চিকিৎসার উপকার নেহায়েত সাময়িক এবং সেই কারণেই অযৌক্তিক। স্থায়ীভাবে রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা করতে হবে রোগের কারণ অনুযায়ী। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো রোগীর মায়াজম বা রোগপ্রবনতা (Miasm/ susceptibility) অর্থাৎ সামগ্রিক মনো দৈহিক বা ধাতুগত দিকে লক্ষ্য রেখে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই নোসোড (nosode) বা জীবাণু থেকে তৈরী ঔষধগুলির সাহায্য নিতে পারেন। পাশাপাশি যকৃত (liver) এবং প্লীহাতে (spleen) কোনও সমস্যা আছে কিনা তাও লক্ষ্য করা দরকার। সেক্ষেত্রে এসব সমস্যা আগে দূর করতে হবে।
Caladium seguinum : বার্নেটের মতে ক্যালাডিয়াম ঔষধটি (শক্তি ৬,১২,৩০,২০০) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রুরিটাস নির্মূলে সফল হয়ে থাকে।
Mercurius sol: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়। রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক সল উপকারী।
Sepia : ক্যালাডিয়াম ঔষধটির পরে আসে সিপিয়া ঔষধটির পালা। এটিও প্রুরিটাসের একটি সেরা ঔষধ।
Sulphur : সালফার চুলকানির একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো যেমন সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, রাতে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, গরমে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।
Lapis alba : লেপিস স্ত্রী যৌনাঙ্গের চুলকানিতে একটি কাযর্কর ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো জ্বালাপোড়া, সূঁই ফোটানো-হুল ফোটানো ব্যথা, রাক্ষুসে ক্ষুধা, মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ- যদিও পোস্টে ঔষধের নাম উল্লেখ করা আছে, তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ঔষধ সেবন করবেন না। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
 
 

IMPOTENCE

বর্তমানে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। দিন দিন এই রোগীর হার বেড়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত রুগীদের চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা। দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। অনেকেই এসব রঙ-বেরঙ্গের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছে প্রতারিত। আমার কাছে অনেক রুগীরা আসে। তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকেই এ রোগ নিয়ে মহাটেনশনে আছেন। অনেকেই এ সমস্যা নিয়ে বিচলিত। কোথায় গেলে ভাল চিকিৎসা পাবে তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
আসলে যৌন সমস্যা কোন সমস্যাই নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবনটাকে নিয়মের ভিতর আনলে এ রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে। আমরা নিজেরাই কিছু সমস্যা নিজেদের শরীরে সৃষ্টি করি। যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগি আর ভাবি হয়ত এ রোগের কোন চিকিৎসা নাই। কিন্তু এখনও যদি আমরা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারি আর সমস্যার কারনে ভাল ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই আল্লাহর রহমাতে আমরা একটি সুন্দর সুখী নীড় তৈরী করতে পারব। আজকাল রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারি রঙের বাহারি সব চিকিৎসার পোস্টার বা সাইনবোর্ড।
বিশেষ করে যৌন সমস্যা নিয়ে। অনেক পোস্টার দেখা যায় যে তারা সাত দিনের ভিতর সব ঠিক করে দিবে। চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, বিফলে মূল্য ফেরত, জীবনের শেষ চিকিৎসা বিবিধ।
আসলে মুল কথা হল আমাদের দেশে বেশীর ভাগই পুরুষরা এ সমস্যাই ভুগছে। মেয়েদের ভিতর এ সমস্যা আছে তবে খুব কম। আমরা চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। এক হিসেবে সেক্স সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিশেষ কিছু কারনে সমস্যা হয়ে থাকে। মুলতঃ যে সব কারনে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে-
১- মানসিক দুঃচিন্তা, মানসিক হতাশা, মানসিক ভীতি।
২- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন
৩- সময়মত বিবাহ না করা।
৪- যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে অনটাইম মেডিসিন সেবন করা।
৫- অতিরিক্ত ধূমপান করা।
৬- নেশার জিনিষ সেবন করা।
৭- স্বামী-স্ত্রী মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।
৮- দীর্ঘদিন যাবত কঠিন আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক রোগে ভোগা।
৯- সঙ্গ দোষ। অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা, এ জাতীয় চিন্তা করা।
১০- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া।
১১- ডায়াবেটিস হবার কারনে।
১২- মোটা হবার কারনে।
১৩- যারা কায়িক পরিশ্রম কম করে, মানে অলস যারা।
১৪- প্রেম করে বিয়ের আগেই অবাধ মেলামেশা করা।
১৫- পরিবারের উদাসীনতা।
১৬- ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা।
মূলতঃ এসব কর্মকাণ্ড-ই আরও সমস্যা আছে। তবে এ সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি। যে সমস্যা থেকেই Impotence হোকনা কেন হোমিওপ্যাথিই পারে এর সমাধান। চিকিৎসা আমরা রোগের নয় রোগীর করে থাকি। সেদিক থেকে অনেক মেডিসিন আসে যেমন –
1-Acid Phos.
2-Agnus Cast.
3-Ashwagandha.
4-Caladium Segu.
5-Damiapalant.
6-Ginseng.
7-Muira Puama. 8- Nupher Luteum.
9-Salis Nig.
10-Selenium.
11-Trriubulas Terri.
12-Titanium.
13-Yohimbinum.
অসংখ্য মেডিসিন আছে হোমিওপ্যাথিতে। লক্ষনের সাথে মিল রেখে হোমিও নিয়মনীতি অনুযায়ী চিকিৎসা করলে আল্লাহর রহমতে পুরো সুস্থতা সম্ভব। তবে এ সমস্যা হতে মুক্তি পাবার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে তা হল অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত অভিজ্ঞ ডাঃ কাছে যেতে হবে, যে মেডিসিন খাবেন তা অরিজিনাল হতে হবে, (এখন জার্মান ওইলমার শোয়েব কোম্পানির মেডিসিন নিঃসন্দেহে খুব ভালো)। একজন ভাল ডাঃ আপনার সমস্ত কথা শুনে মেডিসিন লিখে দিল কিন্তু আপনি ওরিজিনাল মেডিসিন পেলেননা লাভ কিছুই হলনা। সেই জন্য সব দিক খেয়াল রেখে চিকিৎসা নিন ভালো থাকবেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কখনই অস্থায়ী নয়। এ চিকিৎসার পুরো কোর্স কমপ্লিট করলে স্থায়ী সমাধান অবশ্যই সম্ভব।
সবশেষে একটি কথা না বললেই নয়, যে সমস্ত ভাইয়েরা বাজারে প্রচলিত যেসব অনটাইম সেক্সুয়াল মেডিসিন পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এসব মেডিসিন ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার হয়না। তাই আমরা সচেতন থাকব। হোমিও চিকিৎসা নিন সুস্থ ও সজীব থাকুন।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫

"মিথ্যাবাদী মা"

লেখাটি পড়ে চোখ ভিজে গেল, তাই
আপনাদের সাথে শেয়ার
করলাম ।

এতটা দিন পেরিয়ে আজো মায়ের জন্য কাঁদি
কারণ আমার মা যে ছিল ভীষণ মিথ্যাবাদী।
বাবা যেদিন মারা গেল আমরা হলাম একা,
সেদিন থেকেই বাঁক নিয়েছে মায়ের কপাল
রেখা।
মা বলতো বাবা নাকি তারার ভিড়ে আছে
লেখাপড়া করি যদি নেমে আসবে কাছে।
তারায় তারায় বাবা খুঁজি তারার ছড়াছড়ি,
আমার মায়ের মিথ্যে বলার প্রথম হাতে খড়ি।
পাড়া পড়শী বলল এসে এই বয়সেই রাঢ়ি !
একা একা এতটা পথ কেমনে দিবে পাড়ি।
ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে কর আবার
মা বলল, ওসব শুনে ঘেন্না লাগে আমার।
একা কোথায় খোকন আছে, বিয়ের কী দরকার?
ওটা ছিল আমার মায়ের চরম মিথ্যাচার।
রাত্রি জেগে সেলাই মেশিন, চোখের কোণে
কালি
নতুন জামায় ঘর ভরে যায় মায়ের জামায়
তালি।
ঢুলু ঢুলু ঘুমের চোখে সুই ফুটে মা’র হাতে
আমি বলি, শোও তো এবার কী কাজ অত
রাতে?
মা বলত ঘুম আসে না শুয়ে কী লাভ বল?
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা কথার ছল।
স্কুল থেকে নিতে আসা গাড়ী ঘোড়ার চাপে
আমার জন্য দাড়ানো মা কড়া রোদের তাপে।
ঘামে মায়ের দম ফেটে যায়, দুচোখ ভরা ঝিম
ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে আমায় দিত আইসক্রিম।
মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলতাম একটু নাও
মলিন হেসে মা বলত, খাও তো বাবা খাও।
আমার আবার গলা ব্যাথা, ঠান্ডা খাওয়া
মানা
ওটা ছিল আমার মায়ের নিঠুর মিথ্যাপনা।
বড় হয়ে চাকুরী নিয়ে বড় শহর আসি
টুকটুকে বউ ঘরে আমার বউকে ভালবাসি।
পশ এলাকায় বাসা নিয়ে ডেকোরেটর ধরে
সাজিয়ে নিলাম মনের মত অত্যাধুনিক করে।
মা তখনো মফস্বলে কুশিয়ারার ঢালে
লোডশেডিং এর অন্ধকারে সন্ধ্যা বাতি
জ্বালে।
নিয়ন বাতির ঢাকা শহর আলোয় ঝলমল
মাকে বলি গঞ্জ ছেড়ে এবার ঢাকা চল।
মা বলল এই তো ভাল খোলা মেলা হাওয়া
কেন আবার তোদের ওই ভিড়ের মধ্যে যাওয়া?
বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার হাঁপানি ভাব হয়
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা অভিনয়।
তারপর আমি আরো বড়, স্টেটস এ অভিবাসী
বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ সুনাম রাশি
রাশি।
দায়িত্বশীল পদে আমার কাজের অন্ত নাই
মায়ের খবর নিব এমন সময় কমই পাই।
মা বিছানায় একলা পড়া
খবর এল শেষে
এমন অসুখ হয়েছে যার
চিকিৎসা নেই দেশে।
উড়ে গেলাম মায়ের কাছে অনেক দূরের পথ
পায়ে পড়ে বলি মাকে এবার ফিরাও মত
একা একা গঞ্জে পড়ে কী সুখ তোমার বল?
আমার সংগে এবার তুমি এমেরিকা চল।
এসব অসুখ এমেরিকায় কোন ব্যাপার নয়
সাত দিনের চিকিৎসাতেই সমুল নিরাময়।
কষ্ট হাসি মুখে এনে বলল আমার মা
প্লেনে আমার চড়া বারণ তুই কি জানিস না ?
আমার কিছু হয় নি তেমন ভাবছিস অযথা
ওটাই ছিল আমার মায়ের শেষ মিথ্যা কথা।
ক’দিন পরেই মারা গেল নিঠুর মিথ্যাবদী
মিথ্যাবাদী মায়ের জন্য আজো আমি কাঁদি।
আপনি হয়তো জানেন না আপনার জন্মের পর
থেকে এ
পর্যন্ত তার সব কষ্টগুলোকে চাপা দিয়ে
রেখেছে শুধু আপনার
মুখে একটু হাসি ফুটানোর জন্য ।
আপনাদের কাছে শুধু একটাই অনুররোধ মা কে
কখনো কষ্ট
দিবেন না, কারন "আপনার দেয়া কষ্টগুলি
মায়ের
মনকে নীরবে কাঁদায়" যা আপনাকে বুঝতে
দিবে না, আপনিও
কোনদিনই বুঝতে পারবেন না ।
আল্লাহ বলেন ,
" "তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে,
তাঁকে ছাড়া অন্য
কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার
সাথে সদ্ব-ব্যবহার
কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি
তোমার জীবদ্দশায়
বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’
শব্দটিও
বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল
তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।" [১৭-২৩]
পোস্টটি ট্যাগ / শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের
পড়ার সুযোগ

করে দিন —

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

নেক সন্তান লাভের উপায় এবং স্ত্রী সহবাসের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি সুন্নাত!



১। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকতে হবে।
২। কোন শিশু বা পশুর সামনে সংগমে রত হবে না
৩। মুস্তাহাব হলো “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
৪। সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের [সা.] সুন্নত।
৫। দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্লেখ্য যে , ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
৬। পর্দা ঘেরা স্থানে সংগম করবে।
৭। সংগম শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার (চুম্বন, স্তন মর্দন ইত্যাদি) করবে।
৮। কোনোভাবেই কেবলামূখী না হওয়া।
৯। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একেবারে উলঙ্গ হবে না।
১০। বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
১১। বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয়
তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে।
১২। নিয়ত ঠিক করুন। হযরত আলী (রা.) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও ভালো সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
[বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ব্যতীত ওষধ সেবন করা উচিত নয়।]

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

গনোরিয়া বা প্রমেহ এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Gonorrhea and Homeopathy treatment )




গনোরিয়াঃ
গনোরিয়া বা প্রমেহ হলো এসটিআই (STI) বা যৌনবাহিত রোগ। স্ত্রী বা পুরুষদের প্রস্রাবনালীর অভ্যন্তরস্থ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহ হয়ে সেখান থেকে পুঁজেরমত স্রাব নিঃসৃত (Discharge) হলে তাকে প্রমেহ বা গনোরিয়া রোগ বলে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে সংক্রামিত হয়। রোগটি প্রথমে পুরুষের মূত্রনালীর পিছনের গর্ত ফসা-ন্যাভিকিউলারিস (Fosa nevicularis) নামক স্থানে আরম্ভ হয়ে ধীরে ধীরে মূত্রনালী, মূত্রথলি ও অন্ডকোষ আক্রান্ত হয়। নারীদের ক্ষেত্রেও মূত্রনালী (Urethra), মূত্রথলী (Urinary Bladder), জরায়ু (Uterus), ফ্যালোপিয়ান টিউব (Fallopian tube) ইত্যাদি আক্রান্ত হয়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে গনোরিয়াগ্রস্ত মায়ের পেট থেকে সন্তান হবার সময় ইহার পুঁজ সন্তানের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন- চোখ, গলা, জয়েন্ট ইত্যাদিতে আক্রমণ করে।

কারণ: 
গনো-কক্কাস এর নেসেরিয়া গনোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগটি হয়ে থাকে। এটি সংক্রামক রোগ। সিফিলিসের রোগের মত এটিও গনোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সেক্সুয়াল কন্টাক্ট দ্বারা সংক্রমিত হয়। বিশ্বব্যপি প্রায় ২০-২৫ কোটি লোক গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।


কীভাবে ছড়ায়?
শতকরা ১০-১৫ ভাগ পুরুষ উপসর্গবিহীন অবস্থায় (Symptom-less stage) থাকে। এদিকে শতকরা ৫০-৭৫ ভাগ মহিলাই উপসর্গবিহীন (Symptom less) অবস্থায় থাকলেও তাদের জরায়ু (Uterus) জীবাণু বহন করে এবং প্রদাহ (Inflammation) সৃষ্টি করে। এ কারণে একজন যৌনকর্মীর (Sex worker) সংস্পর্শে প্রতিদিন যে কয়জন পুরুষ মেলামেশা করে সবাই গনোরিয়াতে আক্রান্ত (Gonorrhea infection) হলেও যৌনকর্মীর কোনরূপ অসুবিধা হয় না। মুখমেহনের মাধ্যমে রোগীর গলার ভেতরের অংশকে আক্রান্ত করে। এতে গলা ব্যথা বা ঘন পুঁজের মতো কাশি হতে পারে। পায়ুপথে মেলামেশার মাধ্যমে মলদ্বার ও রেকটামে প্রদাহ হয়। প্রসবের সময় মা গনোরিয়া দ্বারা আক্রান্ত থাকলে শিশুর চোখ গনোরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত জীবাণুযুক্ত (Germ) পরিধেয়, তোয়ালে (Towel) ব্যবহার করলে বা গনোরিয়ায় আক্রান্ত কারো দ্বারা ধর্ষিত (Rape) হলে বাচ্চাদের যোনিপথে প্রদাহ দেখা দেয়।

রোগ প্রকাশের সময়: 
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩-১৪ দিন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সময় আরো একটু বেশি। সাধারণত জীবাণু সংক্রমণের পরে ১-৩ সপ্তাহের মধ্যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেক মেয়েদের যৌনাঙ্গে জীবাণুদের সংক্রমণ ঘটলেও তারা লক্ষণ বিহীন বাহক হিসেবে অনেক সপ্তাহ বা মাস রয়ে যায়।

রোগের লক্ষণ: 
* বার বার মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা (Frequent micturation)। মূত্র ত্যাগকালে জ্বালাপোড়া করে।

* প্রস্রাবের পথ কিট কিট করে কামড়ায়।

* জনন ইন্দ্রিয়ে প্রদাহ, এ থেকে পুঁজ পড়ে। যৌনাংগে ব্যথা, সূচীবিদ্ধ যন্ত্রণা।

* মূত্রনালী চুলকায়, সুড়সুড় করে প্রথমে জলেরমত পড়ে সাদা ও হলদে পুঁজ নির্গত হয়। সর্বদাই ঝরতে থাকে (Secretion), জামা কাপড়ে চটচটে দাগ (Spot on cloth) পড়ে।

* পুরুষাঙ্গের ভিতরের নালীতে এবং মুখের কাছে এবং নারীদের মূত্রনালী ও যোনির চারপাশে ক্ষত হয়। ধীরে ধীরে চার দিকে বিস্তৃত হয়।

* সময়মত চিকিৎসা না করলে মূত্রনালী অবরুদ্ধ (Obstruction) হয়ে যায়। সরু ধারায় মূত্র বের হয় এবং তা কষ্টকর হয়। আনন্দহীন সংগম (Pleasure less sex) এবং নিদ্রাকালে স্বপ্নে (Night pollution) শুক্র ক্ষরণ হয়। এছাড়া পরে বাত (Gout), হৃদরোগ (Heart disease), স্নায়ুশুল, চোখের রোগ(Eye disease) প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।

* রোগ পুরাতন হলে (Chronic) পুজ পড়া (Puss), জ্বালা পোড়া (Burning), সুড়সুড় করা, ব্যথা (Pain) প্রভৃতি থাকে।

* জীবাণু চোখকে আক্রমণ (Eye infection) করলে চোখের যন্ত্রনা হয়। অবিরাম পুজ পড়ে (Puss discharge), চোখের পাতা ফুলে ওঠে (Swelling)।

* লিঙ্গ-মুখ আরো স্ফীত ও লাল হয়ে ওঠে এবং প্রবল স্পর্শ কাতর হয়। লিংগ উত্থান কালে ভয়ানক কষ্ট হয়। লিংগ উত্থানের এই কষ্টকর অবস্থাকে কর্ডি বলে। কুঁচকীর গ্লান্ডগুলো প্রদাহ (Gland infection) হয়ে ফুলে ও ব্যথা হয় এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একে বাগী বা বিউবো (Bubo) বলে।

* মলদ্বার (Rectum) ও পেরিনিয়ামে (Perineum) দপদপানি ও টাটানি যন্ত্রনা হয়।

* গ্লিট বা ক্রনিক (Chronic) অবস্থায় যদি প্রস্টেট গ্লান্ডের (Prostate gland) প্রদাহ জড়িত থাকে তা হলে প্রস্রাব করার সময় (During micturation) অনেকক্ষণ বসে বা দাড়িয়ে থাকতে হয়। সহজে প্রস্রাব হয় না, অল্প অল্প ফোঁটা ফোঁটা পড়ে অথচ বেগ লেগেই থাকে এবং সমগ্র মুত্রনালী, পেরিনিয়াম ও কোমরে দপদপানি যন্ত্রণা থাকে।

জটিলতাঃ 
প্রাথমিক অবস্থায় (Early stage) চিকিৎসা করলে এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়। কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা (Proper treatment) বা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। শুক্রনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, উপ-শুক্রাশয় (এপিডাইডাইমিস) নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে যৌনরসে বীর্যকোষ থাকে না, যার ফলে ওই ব্যক্তি সন্তানের পিতা হতে পারে না। রোগটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে সে যার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করবে সেই এই রোগে আক্রান্ত হবে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার ফলে প্রস্টেটগ্রন্থির প্রদাহ হতে পারে। ফলে প্রস্রাব আটকে যায় বা বন্ধ হয়।

রোগ নির্ণয়ঃ 
এক্ষেত্রে রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস (History) শুনতে হবে। সে এরই মধ্যে কোনো যৌন সম্পর্ক (Sex act) স্থাপন করেছিল কি-না প্রশ্ন করে ভালো করে উত্তর পেতে হবে। সম্পর্ক থাকলে তা কতদিন আগে এবং কত জনের সঙ্গে। এসব জেনে নিতে হবে। তারপর পরীক্ষা করতে হবে। যদি স্বল্পস্থায়ী আক্রমণ (Acute) হয়ে থাকে তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রাস্তা (Urethra)  থেকে নিঃসরিত পুঁজ বা পদার্থ (Discharge) এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালি (Urethra) ও জরায়ু (Uterus) নিঃসরিত পদার্থ পরীক্ষা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি (Chronic) হলে প্রস্টেটগ্রন্থি ম্যাসাজের পর নিঃসরিত পদার্থ (Prostate fluid) পরীক্ষা করতে হবে কিংবা সকালের প্রথম ফোঁটা প্রস্রাবও (First drop of urine) পরীক্ষা করা যেতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু নিঃসরিত বস্তু পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়াও কালচার ও সেনসিটিভিটি পরীক্ষা করা যেতে পারে।

গনোরিয়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়:
যে কোন সংক্রমণ প্রতিরোধের (Protect infection) সবচেয়ে সুনিশ্চিত উপায় হল যৌনসংসর্গ এড়িয়ে (Avoid illegal sex) যাওয়া অথবা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় যৌনসংসর্গের জন্য একটিমাত্র সঙ্গী বেছে (Select valid sex partner) নেওয়া, যার কোন যৌনসংক্রমণ নেই৷ মোট কথা, ইসলামী আইন মেনে চললেই গনোরিয়া প্রতিরোধ করা যাবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ 
গনোরিয়া রোগ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত ফলদায়ক ঔষধ আছে, যা অন্য কোন প্যাথিতে নেই। নির্দিষ্ট মাত্রায় লক্ষণভেদে ঔষধ প্রয়োগে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় (Cure) করা সম্ভব। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন (BHMS) হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এই রোগে ব্যবহৃত রবিন মার্ফির রেপার্টরির বিভিন্ন ঔষধ নিম্নরুপঃ
১ম গ্রডঃ ক্যানাবিস স্যাট, থুজা, মেডোরিনাম।

২য় গ্রেডঃ সিপিয়া, পালসেটিলা, সালফার, একোনাইট, ক্যাপসিকাম, ক্লিমেটিস, জেলসেমিয়াম, হাইড্রাস্টিস, ক্যালি বাই, মার্ক কর, পেট্রোসেলেনিয়াম, এসিড নাইট্রিক, এসিড ফু্লরিক, মার্কসল, সাইলিশিয়া, আর্জেন্ট মেট, আর্জেন্ট নাইট্রিকাম, সিনেবেরিস, মেজোরিয়াম, এসিড ফম, ক্যান্থারিস, কোপাইভা, কিউবেবা অফিসিনালিস।

৩য় গ্রেডঃ এলুমেন, এগ্নাস কাস্ট, এপিস মেল, এসিড বেঞ্জায়িক, হিসার সালফ, ক্রিয়োজুট, ক্যালি সালফ, ন্যাট্রাম সালফ, স্যাবাল সেরু, স্যাবাইনা, টেলুরিয়াম, জিঙ্ক।
বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে।  সকল কিছুর মালিক আল্লাহ -
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
[বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ব্যতীত ওষধ সেবন করা উচিত নয়।]



পেট ব্যথা কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় এবং এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Abdominal pains causes, symptoms, diagnosis and its Homeopathy treatment )::

পেট ব্যথা হলো নিম্ন বুক এবং শ্রোণীদেশের মধ্যে শরীরের অংশে ব্যথা সহ অস্বস্তিকর একটি অনুভূতি। পেটের গহ্বর পাকস্থলি, যকৃত, পিত্ত থলি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, সিকাম, এপেন্ডিক্স, মূত্রনালী, প্লীহা এবং পেটের পেশীর মত বিভিন্ন কাঠামো গঠিত । পুরো পেটকে ৯ টি অঞ্চলে বিভক্ত করা যায় ।




পেটের অঞ্চল অনুসারে বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থানঃ
ডান হাইপোকন্ড্রিয়াম (Right Hypochondrium): লিভার, গলব্লাডার, ডান কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত্র ।
বাম হাইপোকন্ড্রিয়াম (Left Hypochondrium): প্লীহা, কোলন, বাম কিডনি, অগ্ন্যাশয় ।
ইপিগ্যাস্ট্রিয়াম (Epigastrium): পেট, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, গ্রহণী (Duodenum), প্লীহা, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি ।
ডান লাম্বার অঞ্চল(Right Lumber Region): গলব্লাডার, লিভার, ডান কোলন ।
বাম লাম্বার অঞ্চল(Left Lumber Region): সাজানো কোলন, বাম কিডনি ।
নাভিসংক্রান্ত অঞ্চল (Umbilical Region): নাভী (Umbilicus), জেজুনাম (Jejunum), ইলিয়াম (Ileum), গ্রহণী (Duodenum) ।
ডান ইলিয়াক ফসা (Right Iliac Fossa): এপেন্ডিক্স (Appendix), সিকাম (Cecum) ।
বাম ইলিয়াক ফসা (Left Iliac Fossa): নিম্নগামী কোলন, সিগময়েড কোলন ।
উদরের মধ্যস্থলের অব্যবহিত নিম্নাংশ(Hypogastrium): মূত্রথলী, সিগময়েড কোলন, নারী জননাঙ্গ ।

কোন ব্যক্তি এই অঞ্চলে কোনো ব্যথা অনুভব করলে তাই পেট ব্যথা ।

পেট ব্যথার কারণ ও লক্ষণ (Causes and symptoms of abdomen):
পাকস্থলীর ক্ষত (Peptic ulcer) - পরিপাক নালীর মধ্যে অ্যাসিড বহনকারী অঞ্চলের কাছাকাছি শ্লৈস্মিক ঝিল্লীর ক্ষত, ব্যথা রুঢ়/তীক্ষ্ণভাবে জিফয়েড এবং নাভির মধ্যে ১ ইঞ্চি ব্যাস অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত থাকে।
পিত্ত থলির প্রদাহ (Cholecystitis) - পিত্ত থলি স্পর্শকাতরতা সঙ্গে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে ব্যথার আক্রমন।
অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার (Carcinoma of pancreas) - মধ্য পাকস্থলিতে ব্যথা, অবিচলিত এবং  মৃদু বা আক্রমনের বেগ আস্তে আস্তে বেড়ে পেটে তীব্র/শূলবেদনাযুক্ত ব্যথা ।
পাকস্থলির কার্সিনোমা (Carcinoma stomach) - পেট ব্যথার সঙ্গে দৈনিক অস্বস্তি ।
এপেন্ডিক্সে তীব্র প্রদাহ (Acute appendicitis) - পেটে অতিরিক্ত শূলবেদনাযুক্ত ব্যথা প্রথমে কেন্দ্রী অঞ্চলের অনুভূত এবং কয়েক ঘন্টা পর ব্যথা ডান অধস্তন অস্থিসম্বন্ধীয় (right iliac fossa) অংশে স্থানান্তর হয় ।
অগ্ন্যাশয়ে তীব্র প্রদাহ (Acute pancreatitis) - এপিগ্যাস্ট্রিয়ামে সাংঘাতিক পৃষ্ঠশূল এবং স্পর্শকাতরতা ।
আইবিএস (Irritable bowel syndrome) - ভোজনসংক্রান্ত ব্যথা যা খাবারের সাথে সম্পর্কিত ।
বিচ্ছেদ অন্ত্রবৃদ্ধি (Hiatus hernia) - এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে ব্যথা ঘটায়।
পেটের এঞ্জিনা (Abdominal angina) - দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার জন্য ভোজনসংক্রান্ত ব্যথা দেখা দেয়, সাধারণত মোচড়ানো ব্যথা হয় এবং পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
কোলন কার্সিনোমা (Carcinoma colon) - ব্যথা নাভি স্তর থেকে নিচে ডান পাশ হয় ।
দ্বিপার্শিক ফেলোপিয়ান টিউব-ডিম্বাশয়ের প্রদাহ (Bilateral salpingo-ophoritis) - তলপেটে উভয় পাশ ব্যথা । ডিম্বাশয়ের সিস্ট - যাতে খুব তীব্র পেট ব্যথা উৎপাদন করে ।
অন্যান্য কারণ - পাকস্থলি ও অন্ত্রের প্রদাহ (Gastroenteritis), পরিপাক্তন্ত্রের প্রদাহ (Meckel’s diverticulitis), অন্ত্রে বাধা (Intestinal obstruction), ক্ষতসহ কোলন প্রদাহ (Ulcerative colitis), রক্তে এবং প্রস্রাবে অতিরিক্ত পরফাইরিন উপস্থিত(Porphyria), নিউমোনিয়া, বদহজম, প্লীহা ছিরে যাওয়া (Ruptured spleen), জরায়ুর বাইরে গর্ভাধারণ (Ectopic pregnancy), যকৃতের প্রদাহ (Hepatitis), জরায়ুর শ্লৈস্মিক ঝিল্লির প্রদাহ (Endometriosis), পাকাশয়ের প্রদাহ (Gastritis) ইত্যাদি পেট ব্যথায় অন্তর্ভুক্ত ।

রোগ নির্ণয় (Diagnosis):
রক্ত পরীক্ষা (Blood test) - কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC) , গর্ভধারণ পরীক্ষা (pregnancy test), রক্ত ​​কালচার (blood culture), প্রস্রাব এনালাইসিস (urinalysis) ।
পেটের এক্সরে (X-ray abdomen) - রেনাল/কিডনি পাথর, অন্ত্রের বাধা নির্ণয় ইত্যাদি ।
পেটের সিটি স্ক্যান (Abdominal CT scan) - টিউমার সংক্রমণ, রেনাল//কিডনি পাথর, এপেন্ডিক্স প্রদাহসহ অভ্যন্তরীণ অঙ্গ এবং টিস্যু প্রদাহ নির্ণয় করে।
পেটের এমআরআই(Abdominal MRI) - টিউমারের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নির্ণয় করে।
পেটের আল্ট্রাসাউন্ড (Abdominal ultrasound) - পেটের কাঠামো মূল্যায়ন, পিত্ত থলি পাথর, মূত্রাশয় পাথর, জরায়ুর বাইরের গর্ভাবস্থা  ইত্যাদি নির্ণয় করতে সাহায্য করে।


পেটের ব্যথা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (Homeopathic treatment of abdominal pain) :
হোমিওপ্যাথি হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। রোগীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে নির্ণয় করে এবং উপসর্গ মিল তত্ত্ব উপর ভিত্তি করে ঔষধ নির্বাচনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। রোগীর সব চিহ্ন এবং উপসর্গ মুছে সম্পূর্ণ পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবার মাধ্যমে একমাত্র উপায় এটি। হোমিওপ্যাথি উদ্দেশ্য ব্যথা চিকিতসা নয়, এর অন্তর্নিহিত কারণ এবং ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা মোকাবেলাও এর উদ্দেশ্য। পেট ব্যথার স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিৎসার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

পেট ব্যথা চিকিৎসার জন্য কিছু দরকারী ওষুধ নিচে দেওয়া হল:
Nux Vomica - বিশেষ করে বদহজম জনিত কারণে পেটে ব্যথা জন্য নাক্স ভম একটি সেরা ওষুধ।
Colocynthis - উপোড় হয়ে পেট চেপে (bending double) বা কঠিন চাপ দ্বারা যে পেটে ব্যথা ভালো অনুভূত হয়, তাতে কলোসিন্থ ভালো কাজ করে ।
Pulsatilla - মসলা ও তৈল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ এবং প্যাস্ট্রি খাওয়ার পর সৃষ্ট পেট ব্যথায় পালসেটিলা খুবই কার্যকরী ।
Natrum carb - পেটের ব্যথা খাওয়ার দ্বারা উপশম হলে নেট্রাম কার্ব ব্যবহৃত হয়।
Cuprum met - ঠান্ডা পানীয় পান করলে মারাত্মক আক্ষেপে কুপ্রাম মেট।
Croton tig - হঠাৎ পেট ব্যথা সাথে অতিরিক্ত পানিযুক্ত ডায়রিয়া ক্রুটন টিগ।
Chamomilla - বিশেষ করে রাগের পরে আকস্মিক পেট ব্যথায় ক্যামোমিলা কার্যকরী ।
Dioscorea - নাভী অঞ্চলে ব্যথা, যা পিছনে বেঁকে (bending backward) থাকলে কমে, এতে ডায়স্কোরিয়া কার্যকরী।
Belladonna - অন্ত্রে বাধার (intestinal obstruction) কারণে পেটে ব্যথা হলে বেলেডোনা ।
Mag phos - মারাত্মক, আকস্মিক পেট ব্যথা যা গরম প্রয়োগে ভাল অনুভূত হয়, তাতে ম্যাগ ফস অত্যান্ত কার্যকরী ।
China off - ফুলে যাওয়া এবং পূর্ণতা সঙ্গে যুক্ত ইপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চলে ব্যথা, বিশেষভাবে খাওয়ার পরে হলে চায়না অফিসিনালিস কার্যকরী ।
Lycopodium - খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, যা বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খুবই বেশি থাকে ।


পেট ব্যথার এলোপ্যাথিক চিকিৎসা (Allopathic treatment of abdominal pain) - কারণ বা মেডিক্যাল অবস্থার (medical condition) উপর চিকিৎসা নির্ভর করে; এছাড়াও কয়েকটি ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারও লাগে।

পেটের ব্যথা অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা (Other alternative treatment of abdominal pain) - প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা (naturopathy), আয়ুর্বেদ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ধ্যান (meditation) ইত্যাদি ।


বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে।  সকল কিছুর মালিক আল্লাহ -
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

রবিবার, ২ আগস্ট, ২০১৫

দ্রুত বীর্যপাত এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা (Premature ejaculation and Homeopathy treatment)


  
দ্রুত বীর্যপাত এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন হল দ্রুত বীর্যপাত। যদি নিয়মিত সঙ্গি এবং সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরেই বীর্যপাত ঘটে যায়- তাহলে যে সমস্যাটি বুঝা যাবে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন। প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। প্রতি ৩ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন এ সমস্যায় ভোগে থাকেন।

একসময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক; বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রি-মেচিউর ইজেকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে শারীরিক বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে- যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।

উপসর্গঃ
পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু যৌনমিলনের সময়ও।

প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশনকে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা হয়-
এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন : এটি হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।
দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন : এ ক্ষেত্রে আগের বা প্রথম দিকের যৌনজীবন তৃপ্তিদায়কই ছিল, বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।

কারণঃ
কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায়, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।
মানসিক কারণঃ
কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-
* লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি বা তাড়াতাড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
* অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত পুরুষের দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।
দুশ্চিন্তাঃ অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।
জৈবিক কারণঃ
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-
* হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
* মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান ( Chemicals of brain ) বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
* বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া
* থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
* প্রোস্টেট (Prostate) অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ (UTI)
* বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

নিচের কারণগুলোর জন্যও দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে-
* সার্জারি বা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের (Nervous system) ক্ষতি হওয়া।
* মাদক বা নারকোটিকস কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।

বেশির ভাগ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের (Premature ejaculation) ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ
দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয় -
পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, মাঝে মাঝে উত্থিত হয় অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষন এ অবস্থায় না থাকে তাহলে দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না, এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা- হৃদরোগ থাকে। এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

ওষুধঃ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ঃ
চিকিৎসক বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।
পুরুষ হরমোনের (টেস্টোস্টেরন) মাত্রা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিতে পারেন।

জটিলতাঃ
যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-
সম্পর্কে টানাপড়েনঃ দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি।

বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মধ্যে বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে সঙ্গি ও সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

চিকিৎসাব্যবস্থাঃ
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- সেক্সুয়াল থেরাপি, ওষুধপত্র ও সাইকোথেরাপি। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
সেক্সুয়াল থেরাপিঃ এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বুঝিয়ে দেবেন যৌনমিলনের সময় কী করতে হবে। চিকিৎসক একটি নির্দিষ্ট সময় যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতে পারেন। আরও কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারে।

ওষুধঃ দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। ওষুধ প্রথমে অল্প মাত্রা দিয়ে শুরু করতে হয়। এটি আপনার লিঙ্গের অনুভূতিকে ভোঁতা করে আপনার বীর্যপাত দেরিতে ঘটাতে সাহায্য করে। পুরুষ সঙ্গীরা যখন এসব ক্রিম ব্যবহার করেন তখন তাদের যোনির সংবেদনশীলতা কমে যায়, এতে পুরুষ সঙ্গীরা যৌনানন্দ লাভ করলেও তারা তেমন যৌন আনন্দ লাভ করেন না।

সাইকোথেরাপিঃ এটা হলো কাউন্সেলিং বা আপনার যৌনসমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। এ ধরনের কথা বলায় আপনার দুশ্চিন্তা কমবে এবং সমস্যার উন্নতি ঘটবে। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রে শুধু সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া গেছে।

প্রতিরোধঃ
দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌনসঙ্গিনীর সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে  নাও পারে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর চিকিৎসাও রয়েছে।


হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
Caladium Seg(ক্যালেডিয়াম)– বহু দিন যাবত স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ শিথিল। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যান্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন।সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না, যদিও হয় অল্পতেই বীযপাত হয়ে যায়।

Conium ( কোনিয়াম ) - স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যাধিক কিন্তু অক্ষম। সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময়ও লিঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে।

Lycopodium(লাইকোপোডিয়াম)- হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ অথবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাসের কারনে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রীকে সোহাগ আলিঙ্গন করলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না।

Selenium(সিলিনিয়াম) -শুক্র তারুল্য।

Agnus Castus ( এগনাস কাস্ট ) - অবৈধভাবে বা অপব্যবহারের ( Abuse ) মাধ্যমে  বীর্যক্ষয় করে যারা ধজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য।

Anacardium(এনাকার্ডিয়াম) - স্মরন শক্তিহীন ( Loss of memory ) রোগীদের প্রস্রাব কালীন বীর্যপাত হয়ে ধজভঙ্গ রোগ হলে ।

Acid Phos(এসিড ফস) - স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘুরা, স্মৃতি শক্তি হ্রাস ( Loss of memory ), লিঙ্গ শিথল ( Relax penis ), অতি শিঘ্রই বীর্যপাত।

Corbonium Sulph(কার্বোনিয়াম সালফ) -অজান্তে অথবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বীর্যপাত এবং স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না।

Salix Nig(স্যালিক্স নায়গ্রা) - স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতা হীন।

Titanium ( টিটেনিয়াম ) - সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্য পাতলা।

Nuphar Lut ( নুপার লুটিয়া ) - কাম উত্তেজনার কথায় বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত।

Turnera(টার্নেরা) - শুক্র বর্ধক ওষুধ।

Avana Sat ( এভেনা স্যাট ) -  হস্তমৈথুন (Musterbation ), স্বপ্নদোষ ( Night pollution ) বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী।

Medorrhinum(মেডোরিনাম) -গনরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে এ ওষুধ পরে লক্ষ অনুযায়ী অন্য ওষুধ সেবন করবে।

Phosphorus(ফসফরাস) -সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালক সামান্য কারনে মন খারাপ। হাঁটতে সামান্য নুয়ে চলে । এই ধাতুর রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ কিংবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাসে বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারনে ধ্বজভঙ্গ হয়।

Moschus(মস্কাস) - বহুমুত্র রোগী, যাদের দেহের গড়ন চিকুন, দুর্বল ও ক্ষমতাহীন তাদের অল্পতেই বীর্যপাত হয়ে গেলে।

বায়োকেমিক ঔষধঃ
Natrum Mur(নেট্রাম মিউর) - স্ত্রী লোক দেখলে, কথা বললে এমন কি মনে মনে ভাবলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।

Kali Phos(কেলি ফস) -অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা (Sleeplessness), কাজ কর্মে অনিচ্ছা, জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।

Silicea(সাইলেসিয়া) - হস্তমৈথুন,স্বপ্নদোষ,অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য।
বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে।  সকল কিছুর মালিক আল্লাহ - সকল প্রসংশা শুধু মাত্র তার জন্য- আল্লাহ আমাদের সকলকে ভাল রাখুন -আমীন
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

টনসিল প্রদাহ, কারণ, লক্ষণ, জটিলতা, এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Tonsillitis, Causes, Symptoms, Complications, and Homeopathy treatment )




টনসিল প্রদাহ, কারণ, লক্ষণ, জটিলতা, এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Tonsillitis, Causes, Symptoms, Complications, and Homeopathy treatment )

টনসিল হচ্ছে দুটি লিম্ফ নোড যা মুখের পিছনে এবং গলার উপর দিকে অবস্থিত । এর কাজ হলো রোগ প্রতিরোধ করা। এরা ব্যকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবানুকে বের করে দিয়ে দেহকে সক্রমণের হাত থেকে প্রতিরোধ করে।

কারণঃ
যথারীতি ব্যকটেরিয়া (স্ট্রেপটোকক্কাস) অথবা ভাইরাস।



ঝুঁকিসমূহঃ
* ডে-কেয়ার সেন্টারের ছোট ছেলেমেয়েরা এবং শিক্ষক উভয় আক্রান্ত হয়
* জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস, কাজ, এবং অবস্থান করলে
* ধূমপান
* ডায়াবেটিস এর মত দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে

লক্ষণঃ
সাধারণ লক্ষণ হতে পারেঃ
* গিলতে কষ্ট হয়
* কানে ব্যথা
* জ্বর এবং শীত শীত
* মাথা ব্যথা
* গলায় ক্ষত, যা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে
* চোঁয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা
* গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া
* গলা সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে
* শিশুদের মধ্যে ক্ষিদে না থাকা দেখা দিতে পারে
অন্যান্য সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ
* নিশ্বাস নিতে সমস্যা, যদি টনসিল খুব বড় হলে
* খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা



টনসিল প্রদাহের জটিলতাঃ
* দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ
* দীর্ঘস্থায়ী উপরের শ্বাসনালী বাধা ঘুমের মধ্যে শ্বাস কষ্ট বা ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে
* নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
* খেতে বা গিলতে সমস্যা
* কথা বার্তায় অস্বাভাবিকতা
* কানের প্রদাহ
* হার্টের কপাটিকার রোগ
* ফোঁড়া
* গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস বা কিডনি প্রদাহ
* ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস, এছাড়াও স্কারলেট জ্বর, বাতজ্বর, এবং হৃদরোগও হতে পারে ।

টনসিল প্রদাহ নির্ণয়ঃ
* গলা কালচার করলে সংক্রমনকারী জীবাণু সম্পর্কে জানা পারে।
* CBC তে সাধারণত শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়া প্রকাশ পায়।
* বায়োপসি করে ফোড়া থেকে সেলুলিটিস পার্থক্য করা যায়।

টনসিল প্রদাহের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবিসি তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সম্পূর্ণ লক্ষণ সংগ্রহের মাধ্যমে, স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন করে অবশ্যই টনসিল প্রদাহ আরোগ্য করা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসার জন্য রোগীর অবশ্যই একজন যোগ্য (বিএইচএমএস ডিগ্রী সম্পন্ন) ও দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারে সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। টনসিল প্রদাহ আরোগ্য করে এমন কিছু সহায়ক হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

Baryta Carb - প্রত্যেকবার ঠান্ডার পর টনসিল প্রদাহ হয়; গিলতে গেলে গলায় অস্বস্থি অনুভব হয়। কঠিন বস্তু গ্রাস করার সময় এবং খালি গিলতে গেলে অনেক কষ্ট হয়, গলায় প্লাগের মত বেদনা অনুভূত হয়।

টনসিল পাকার ঝোঁক থাকে, বিশেষভাবে ডান টনসিল। টনসিল ধীর্ঘস্থায়ীভাবে শক্ত বা কঠিনভাবে থাকতে পারে।

Belladonna - টনসিল প্রদাহ, অংশবিশেষ উজ্জ্বল লাল থাকে। গিলার সময় মনে হয় গলা খুবই সরু হয়ে গেছে। রক্ত সঞ্চয়ের লক্ষণ। তরল খাবার খেতেই বেশী খারাপ অবস্থা হয়। ডান টনসিল সবচেয়ে আক্রান্ত হয়।

Alumen - টনসিল প্রদাহ হওয়ার প্রবণতা, গলা এবং গলা শ্লেষ্মা; কথা বলা এবং তরল খাবার গ্রহনের সময় গলা ক্ষত এবং শুষ্ক হয়; গলার উভয় পাশে খুবই শুষ্কতা অনুভব করে।

Hepar Sulph - শুনাতে সমস্যা সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী টনসিল; গলায় মাছের কাঁটা থাকার মত অনুভূতি; গলা সেলাই মত অনুভূতি, যা কান পর্যন্ত বিস্তৃত।

Calcaria Phos - মধ্যকর্ণের প্রদাহসহ দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ; গলা ব্যাথা গিলার সময় অনেক বৃদ্ধি পায়।

Calcaria Carb - ভালভ বড় হয় এবং টনসিল প্রদাহ হয়; গিলার সময় মনে হয় গলা সংকুচিত হয়েছে। ব্যথা গলা থেকে কান পর্যন্ত বিস্তৃত।

Baryta Iod - টনসিল বড় হয়; দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্ধন এবং টনসিলের কঠিনীভাব তৈরী হয়; লিম্ফনোড বা লসিকানালী গ্রন্থি ফোলা, এটা প্রায়ই পুঁজ তৈরীতে বাধা দেয়।

Apis Mel - গিলতে সময় কাঁটাবিধামত ব্যথা জ্বালা; মুখ এবং গলায় শুষ্কতা; লাল এবং টনসিলে অনেক প্রদাহ; তাপ বা গরম পানীয়ে বাড়ে, ঠান্ডা বা ঠান্ডা পানীয়ে ভাল অনুভব করে।

Silicea - গভীর ক্ষত, এমনকি পচা ঘাঁ বা গ্যাংগ্রিন হয়; টনসিল ফুলে গলাধকরণে বাধা তৈরী করে; টনসিল প্রদাহ, গ্রন্থিতে পুঁজ তৈরী হয়, যা সহজে আরোগ্য হয় না; গলায় পিন থাকার মত অনুভূতি, যা গলা কাশি ঘটায়; গলার বাম পাশে বেশি ঘটে।

Lachesis - টনসিল প্রদাহের জন্য অনেক ভালো ওষুধ; টনসিলে পুঁজ তৈরী হয়; টনসিল ফোলে যায়, ডান পাশের প্রদাহ প্রবণতার সঙ্গে বাম পাশের টনসিলে অনেক বাড়ে; গলাধ:করণে অক্ষমতা, সজোরে দমবন্ধ হয়ে যায়।

Lac can - টনসিল প্রদাহ, ক্ষত বা কালশিটে খুবই উজ্জল জ্বলজ্বলে, গলার এতো কাছে চলে আসে যাতে গলা বন্ধ হয়ে যায়; পূঁজ তৈরী হয় ডানে থেকে বামের টনসিলে, বা এপাশ ওপাশ পরিবর্তন, বা উভয় টনসিল সমানভাবে প্রভাবিত; গোটা গলার পিছনের অংশ ফোলে যায়।

Psorinum - টনসিল প্রদাহ, সাব ম্যাক্সিলারী গ্রন্থি বা উপ চোয়াল গ্রন্থি ফোলে; গলা জ্বলে, মনে হয় গলা পুড়ে গেছে এমন অনুভূতি, লালা গিলতেও গেলেও ব্যাথা, ডান পাশের টনসিলে আলসার বা ক্ষত, কণ্ঠ জ্বলার সঙ্গে গভীরে অনেক ব্যথা।
বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে।  সকল কিছুর মালিক আল্লাহ -
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫

বন্ধাত্ব নিয়ে ভাবনা?



বন্ধ্যাত্ব কিঃ

স্ত্রীলোকের সন্তান উৎপাদনের শক্তি না থাকার নাম "বন্ধ্যাত্ব" বা (Sterility)। স্ত্রী কিংবা পুরুষ যে কোনও একজনের বা উভয়ের দোষেই বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

কি কি কারনে হতে পারেঃ

বেশি বয়সে বিবাহ, অধিক মেদ, অপুষ্ট ডিম্ব, স্ত্রীজননেন্দ্রীয়ের উপদংশ, প্রমেহ ইত্যাদি কারনে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। এছাড়া স্ত্রীলোকের শ্বত-প্রদর, জরায়ুর স্থানচ্যুত, জরায়ু, ডিম্বকোষ বা ডিম্ববাহীনালীর অর্বুদ, গুটিকাদোষ, ক্যানসারের ক্ষত এবং তার জন্য অপারেশনের মাধ্যমে বারংবার অঙ্গ কেটে ফেলা, অম্লগুণবিশিষ্ট জননাঙ্গ-স্রাব ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আবার পুরুষের অম্লগুণবিশিষ্ট শুক্রস্রাব, অপরিমিত শুক্রস্রাব, শুক্রকিটের অভাব বা অপরিপুষ্ট শুক্রকিট, প্রমেহ, উপদংশ, অপরিপুষ্ট জননাঙ্গ ইত্যাদি দোষে বা স্ত্রীজননেন্দ্রীয় অপরিপুষ্ট থাকার কারনেও নারীদেরকে বন্ধ্যা হতে হয়।

চিকিৎসাঃ

কি কারনে বন্ধ্যাত্ব তা নির্ণয় করতে হবে এবং তা দুর করনের চেষ্টা করা অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু উপরোক্ত কারনগুলো যদি না পাওয়া যায়, এবং তারপরও যদি কোনও মহিলা সন্তানলাভে বঞ্চিত বা বন্ধ্যাত্ব নামে অভিযুক্ত, তাহলে নিম্নলিখিত ঔষধগুলো খাওয়াতে হবে।

ঔষধ সমুহঃ

=> Conium 3 - বন্ধ্যাত্ব দুর করনের এটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ (বিশেষ করে ডিম্বকোষের ক্ষীণতার জন্য বন্ধ্যাত্ব হলে)। অল্প পরিমাণে রজোনিঃসরণ, স্তনে বেদনা।

=> Borax 6 - তীব্র শ্বেত-প্রদর সহ বন্ধ্যাত্ব হলে উপকারী।

=> এছাড়াও Iodin 6 (স্তন ও ডিম্বকোষ ক্ষয়প্রাপ্ত হলে), Calc Carb 30 (অধিক পরিমাণে রজঃস্রাবের কারনে বন্ধ্যাত্ব), Aurum mur nat 3x(বিচুর্ণ) / 30 (অতি অল্প পরিমাণে রজঃস্রাব বা মোটেই রজঃস্রাব না হওয়ায় বন্ধ্যাত্ব), Sepia 30, Phosphorus 30, Natrum Mur 30 সময় সময় প্রয়োজন হতে পারে।

পুরুষের দোষের কারনে সন্তান না হলে Conium 6 বা Iodium 6 সেবন করতে হবে।

বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে।  সকল কিছুর মালিক আল্লাহ -



বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS

Liver (যকৃৎ) নষ্ট হবার কারন সমুহ কি কি?




লিভার নষ্ট হবার ১০টি কারণ হলোঃ-

১) রাতে খুব দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা।

২) সকালে মূত্রত্যাগ ও পর্যাপ্ত পানি পান না করা।

৩) অতিরিক্ত খাবার খাওয়া।

৪) সকালে নাস্তা না করা।

৫) মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা।

৬) প্রিজারভেটিভ, ফুড কালার ও খাবার মিষ্টি করতে কৃত্রিম সুইটেনার ব্যবহার করা খাবার বেশি খাওয়া।

৭) রান্নায় অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা।

৮) ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া ও ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা।

৯) মাত্রাতিরিক্ত যে কোন কিছুই ক্ষতিকর। খুব বেশি পরিমাণে কাঁচা খাদ্য খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

১০) অ্যালকোহল সেবন করা।

Piles বা অর্শ



অর্শ মলদ্বারের একটি জটিল রোগ। এ রোগে মলদ্বারের বাইরে বা ভেতরে, একপাশে বা চারপাশে, একটি বা একাধিক, গোলাকৃতি বা সুচাল গুটিকা দেখা দেয়। এ গুটিকাগুলোকে আমরা আঞ্চলিক ভাষায় 'বলি' বা 'গেজ' বলি। পায়খানা করার সময় এ বলিগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ সমস্যার অনুপাতে কারো অধিক পরিমাণে, কারো স্বল্প পরিমাণে রক্ত যায়। আবার অনেকের রক্ত যায়ই না। অনেকের ব্যাথা থাকে অনেকের থাকেনা।
অর্শের কারণ :-
ক. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
খ. শরীরের অতিরিক্ত ওজন।
গ. মহিলাদের গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ওপর চাপ পড়লে।
ঙ. লিভার সিরোসিস।
চ. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া.
ছ. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া।।
জ. পরিবারে কারও পাইলস থাকা মানে বংশগত।
ঝ. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে। তাছাড়া যাদের প্রায় চিকেন ফ্রাই, ড্রাই, ফাস্টফুড, সব ধরনের কাবাব যেমন- বাটি কাবাব, টিক্কা কাবাব, গ্রিল কাবাব, বিবিধ খাবারের অভ্যাস আছে।
লক্ষণসমূহ :-
• পায়খানা করার সময় অত্যধিক বা অল্প পরিমাণে রক্ত যেতে পারে।
• গুহ্য দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যায়।
• টাটানি ও যন্ত্রণা।
• কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি।
• মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ।
• উরুদেশ, বক্ষ, নাভির চারপাশে ব্যথা ও মলদ্বারে ভার বোধ।
• কোমর ধরা ও কোষ্ঠবদ্ধতা।
অর্শ রোগে আক্রান্তদের করণীয় :-
১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা।
২. বেশী পরিমাণে শাকসবজী ও অন্যান্য
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি (প্রতিদিন ১২-১৮ গ্লাস) পান করা
৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন চিকিৎসা গ্রহণ না করা।
৯. মল ত্যাগে বেশী চাপ না দেয়া
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।
১১. চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিশ্রাম নেয়া।
১৩. পেটে হজম হতে চায় না এমন খাদ্য বর্জন করা।
১৪. হাতুরে ডাক্তার বা কবিরাজ দিয়েচিকিৎসা না করা।
১৫. অধিক মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করা।
কি খাব?
শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি খাবারের কিছুটা অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে কিছুটা প্রতিকার পেতে পারি। আর যাদের অর্শ হয়ে গেছে তারা এই খাবারগুলি অবশ্যই খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
কি খাবনা-
গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে শুটকির ভুনা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল।
পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ
পরোটা, লুচি, পুরি, পিঁয়াজি, সিঙ্গারা, চিপস ইত্যাদি এই খাবার গুলি বর্জন করতে হবে। চিকেন ফ্রাই, ড্রাই, ফাস্টফুড, সব ধরনের কাবাব যেমন- বাটি কাবাব, টিক্কা কাবাব, গ্রিল কাবাব, অতিরিক্ত ঝাল, ভুনা খাবার, কাঁচা লবণ, দেশী বিদেশী হরেক রকমের বাহারি নামের অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলি বর্জন করতে হবে।
অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসাঃ
এই অর্শ রোগীদের নিয়ে আছে অনেক কবিরাজি, হেকিমি, তাবিজ, মানে চিকিৎসা নামে অনেক অপচিকিৎসা। এই বিষয়ে একটু সচেতন হয়ে আমাদের চলতে হবে। বিজ্ঞান ও বাস্তব সম্মত চিকিৎসা বিধান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রয়েছে এর সুন্দর ও স্বাস্থ্য সম্মত চিকিৎসা। যা কোন অপারেশনের প্রয়োজন হয়না। আমার চিকিৎসা জীবনে দেখেছি অনেকেই অপারেশন করেছে কিন্তু কিছুদিন পর আবার দেখা দিয়েছে। আবার অনেকের দেখেছি জটিল আকার ধারণ করতে। তাই বলব একটু চোখ কান খোলা রেখে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকবেন।
মনে ররাখবেন, অর্শ এমন একটি রোগ যা বারবার অপারেশন করা যায়না। কিছু অভ্যাস চেঞ্জ ও কিছু নিয়ম পালন করলে অবশ্যই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।