এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

Pruritus(চুলকানি) হোমিওপ্যাথিকক চিকিৎসাঃ

প্রুরিটাস বা চুলকানি হলো একটি রোগ লক্ষণ। এটি সাধারণত দু’ধরনের হয়ে থাকে। মহিলাদের বাহ্যিক যৌনাঙ্গের চুলকানি (Pruritus vulvae ev Pruritus vaginae) এবং পায়খানার রাস্তার চারপাশে চুলকানি (Pruritus ani)। এটি এমন এক অশান্তিদায়ক অনুভুতি যা মানুষকে খামচাতে অর্থাৎ চুলকাতে উৎসাহিত করে থাকে। খামচানো থেকে মাঝে মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের রোগের সংক্রমণ (secondary infection) দেখা দেয়। প্রুরিটাস বা এসব রোমাঞ্চকর চুলকানির উল্লেখযোগ্য কারণগুলির মধ্যে আছে এলার্জি, জীবাণু সংক্রমণ, জন্ডিস, লিম্ফোমা, পাইলস, ডারমাটাইটিস (contact dermatitis), সোরিয়াসিস (psoriasis), ট্রাইকোমোনিয়াসিস (trichomoniasis), সুতা কৃমি, ত্বকের ইরিটেশন, ক্যানডিডিয়াসিস, ছত্রাকের (fungus) আক্রমণ ইত্যাদি। সর্বোপরি মানসিক (psychogenic) কারণেও প্রুরিটাস হতে পারে। এসব জায়গা দীর্ঘদিন একনাগারে চুলকানোর কারণে ফুলে মোটা হয়ে যেতে পারে এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এটি ক্যান্সারে রূপ নিয়ে রোগীর জীবনকে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে হাজির করতে পারে।
লক্ষণ অনুসারে নিম্নোক্ত ঔষধ প্রয়োগ করলে আশনুরুপ ফল পাওয়া যায়।
Calendula Officinalis : ক্যালেণ্ডুলা (ঔষধটি ভ্যাসেলিনের সাথে মিশিয়ে মলম আকারে ব্যবহার করে) অথবা আরো কিছু ঔষধ আছে যা ব্যবহার করে সাময়িক আরাম পেতে পারেন। কিন্তু এই জাতীয় চিকিৎসার উপকার নেহায়েত সাময়িক এবং সেই কারণেই অযৌক্তিক। স্থায়ীভাবে রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা করতে হবে রোগের কারণ অনুযায়ী। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো রোগীর মায়াজম বা রোগপ্রবনতা (Miasm/ susceptibility) অর্থাৎ সামগ্রিক মনো দৈহিক বা ধাতুগত দিকে লক্ষ্য রেখে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই নোসোড (nosode) বা জীবাণু থেকে তৈরী ঔষধগুলির সাহায্য নিতে পারেন। পাশাপাশি যকৃত (liver) এবং প্লীহাতে (spleen) কোনও সমস্যা আছে কিনা তাও লক্ষ্য করা দরকার। সেক্ষেত্রে এসব সমস্যা আগে দূর করতে হবে।
Caladium seguinum : বার্নেটের মতে ক্যালাডিয়াম ঔষধটি (শক্তি ৬,১২,৩০,২০০) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রুরিটাস নির্মূলে সফল হয়ে থাকে।
Mercurius sol: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়। রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক সল উপকারী।
Sepia : ক্যালাডিয়াম ঔষধটির পরে আসে সিপিয়া ঔষধটির পালা। এটিও প্রুরিটাসের একটি সেরা ঔষধ।
Sulphur : সালফার চুলকানির একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো যেমন সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, রাতে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, গরমে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি পাওয়া গেলে অবশ্যই সালফার প্রয়োগ করতে হবে।
Lapis alba : লেপিস স্ত্রী যৌনাঙ্গের চুলকানিতে একটি কাযর্কর ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো জ্বালাপোড়া, সূঁই ফোটানো-হুল ফোটানো ব্যথা, রাক্ষুসে ক্ষুধা, মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ- যদিও পোস্টে ঔষধের নাম উল্লেখ করা আছে, তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ঔষধ সেবন করবেন না। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বিঃদ্রঃ আমার পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার যদি লিখতে কষ্ট হয় তাহলে G or N (G=good, N=nice ) লিখে কমেন্ট করবেন। তাহলে আরো ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।---- আমার পোষ্ট গুলো বিভিন্ন ভাবে Net থেকে  সংগ্রহ করা ---
 Dr. Kaji Arifur Rahman - DHMS
 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন